পরীক্ষা: এ বার উজবেকিস্তানে লড়তে হবে চানুদের। ফাইল চিত্র
করোনাভাইরাসের কারণে টোকিয়ো অলিম্পিক্স নিয়ে অ্যাথলিটদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই বলে বিশ্ব জুড়ে প্রচার চালাচ্ছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স কমিটি (আইওসি)। কিন্তু তাতেও দেশগুলিকে আশ্বস্ত করা যাচ্ছে না।
টোকিয়ো অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জনের জন্য যে ট্রায়ালগুলি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নির্ধারিত রয়েছে তারা তা করতে চাইছে না অথবা চিনা অ্যাথলিটদের ছাড়াই করতে চাইছে। মীরাবাই চানু, রাখী হালদার, জেরেমি লালরিনজুঙ্গা, প্রদীপ সিংহদের যোগ্যতা অর্জনের জন্য ভারোত্তোলনের শেষ ট্রায়াল এশীয় চ্যাম্পিয়নশিপ নির্ধারিত ছিল তাজিকিস্তানে। এপ্রিলের শুরুতে। কিন্তু সোমবার তারা জানিয়ে দিয়েছে, করোনাভাইরাস দেশে ঢুকে পড়তে পারে এ জন্য তারা এই প্রতিযোগিতা সংগঠন করতে পারবে না। বিশ্ব ভারোত্তোলক সংস্থা তড়িঘড়ি তা সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে উজবেকিস্তানে। তারিখ দেওয়া হয়েছে ১৬-২২ এপ্রিল। ফলে এশীয় প্রতিযোগিতার আগে সবাইকে প্রস্তুত করতে চানু-রাখীদের বিদেশে যে শিবির হওয়ার কথা ছিল তা নিয়ে চূড়ান্ত ডামাডোল। দিল্লি থেকে ফোনে সর্বভারতীয় ভারোত্তোলন সংস্থার সচিব সহদেব যাদব বললেন, ‘‘হঠাৎ প্রতিযোগিতার জায়গা পরিবর্তন হয়ে যাওয়ায় আমরা পড়েছি মহা সমস্যায়। এ বার অলিম্পিক্স থেকে পদক আসতে পারে। সে কথা ভেবেই তাজিকিস্তানে প্রতিযোগিতার আগে দশ দিনের ট্রেনিং ক্যাম্প করব ঠিক করেছিলাম। সব গণ্ডগোল হয়ে গেল।’’
ভারোত্তোলকরা এখন পাতিয়ালায় সাইতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সেখান থেকে ফোনে জাতীয় কোচ বিজয় শর্মার মন্তব্য, ‘‘চানু তো যোগ্যতা পেয়ে গিয়েছে। রাখী, জেরেমিরাও যাতে টোকিয়ো যেতে পারে, সে জন্য এটাই শেষ প্রতিযোগিতা। এখন যে কোথায় শিবির করব ভাবতে হবে।’’ কিন্তু করোনাভাইরাস নিয়ে কতটা আতঙ্কিত খেলোয়ড়রা? মীরাবাই চানুকে ফোনে ধরা হলে বললেন, ‘‘রিয়োতেও জিকা জ্বর নিয়ে নানা কথা শুরু হয়েছিল। এটা অবশ্য ইতিমধ্যেই ছেয়ে গিয়েছে। চিনা অ্যাথলিটরা আসবেই। ওদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy