আগের ম্যাচেই অতিরিক্ত মেসি-নির্ভরতা ভুগিয়েছে আর্জেন্টিনাকে।
আইসল্যান্ড ম্যাচে যা হওয়ার হয়েছে। এ বার ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে লড়াই। তার আগে হর্হে সাম্পাওলিকে আমার চারটি পরামর্শ। চারটি পরামর্শ মানে যেখানে যেখানে আর্জেন্টিনাকে উন্নতি করতে হবে তা নিয়ে সামান্য কিছু কথা।
প্রথমেই গতি। আইসল্যান্ড ম্যাচে দেখছিলাম আমাদের দলটা বড্ড বেশি মন্থর। কখন কী করবে দিব্যি বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু সুশৃঙ্খল কোনও দলের বিরুদ্ধে খেলতে নামলে, যারা সারাক্ষণ বলের উপর কড়া নজরদারি চালায়, তাদের ছাপিয়ে যেতে হয় গতিতে। আইসল্যান্ড ম্যাচের শিক্ষা বলছে, এই জায়গাটায় আমাদের প্রচুর উন্নতি দরকার। যখনই আপনি ধীরেসুস্থে ধরে খেলতে যাবেন। তখন আপনি কী করতে চান সহজেই বিপক্ষ বুঝে যাবে। প্রথম ম্যাচে যেটা হয়েছে। আক্রমণ হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু তার মধ্যে কোথাও বিস্ময় নেই, নেই বিদ্যুৎঝলকও। স্ট্রাইকাররা নিজের জায়গায় স্থবির। দলের টেকনিশায়নরা দুই প্রান্তে অ্যাঙ্খেল ডি মারিয়া আর ম্যাক্সিমিলিয়ানো মেসাকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। ওরা দু’জন যে যাঁর নিজের জায়গায় খেলে যাচ্ছেন। প্রান্তবদলের বালাই নেই। এটা একটা ভয়ের দিক।
দু’নম্বর দিক রক্ষণ। এই জায়গাটায় এক গাদা লোককে নামিয়ে রাখার আমি পক্ষপাতী নই। বরং অল্প যে ক’জন থাকবে তাদের প্রচণ্ড দ্রুত বল ক্লিয়ার করে খেলতে হবে। মনে রাখা দরকার, ক্রোয়েশিয়া ফুটবলটা আইসল্যান্ডের মতো খেলে না। তার উপর রাকিতিচ, মদ্রিচ, পেরিতিচ, রেবিচ আর মানজুকিচ আছে। যারা ইউরোপের সেরা ক্লাবে খেলে। গতি তো আছেই তার উপর মারাত্মক দ্রুত ওরা জায়গা বদল করে। ওদের খুব কাছ থেকে কড়া মার্কিংয়ে রাখতে হবে। রাকিতিচ আর মদ্রিচ তো স্ট্রাইকারের মতোই খেলে দেয়। সঙ্গে উল্টোদিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে হঠাৎ হঠাৎ ঘুরে খেলতে শুরু করে।
আইসল্যান্ড ম্যাচে আমরা একটা সুবিধা নিতে পারিনি। সেটা বিপক্ষ বক্সের সামনে ফাউল আদায়ের সুবিধা। এবং উল্টোটাও। বিপক্ষ যেন আমাদের বক্সের সামনে ফাউল নিয়ে গোল করে না চলে যায়। যে চারটি দিকে আমাদের উন্নতির দরকার বলছি তার মধ্যে এটাও পড়ে। অর্থাৎ এটাই আমার আলোচনার তিন নম্বর বিষয়।
চার অর্থাৎ সবশেষে বলি আমাদের সব কিছুই লিয়োনেল মেসির মুখের দিকে তাকিয়ে করা হচ্ছে। অবশ্য এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু উল্টোটা হলেই ভাল। ও ওর মতো খেলুক। সব সময় মেসিকেই পাস বাড়ানোর দরকার নেই। বরং গোলের পাসটা ওর পা থেকেই আসবে ভেবে ঠিক জায়গা মতো ওকে খেলতে দিতে হবে। মোদ্দা কথা ওকে নিজের খেলাটা খেলতে দিতে হবে। বল পেলেই মেসির পায়ে দিয়ে দায়িত্ব শেষ করাটা খুব খারাপ ব্যাপার। বরং স্বাভাবিক নিয়মে ওর কাছে বল যাক। দেখা যাবে ঠিক কাজের কাজটা ও করে দিচ্ছে। গোলও করছে। গোলের মোক্ষম পাসটাও দিচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy