Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

লিয়োর ঘরে গুয়ার্দিওলা মন্ত্রে আস্থা সাম্পাওলির

হাইতির বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে দুরন্ত হ্যাটট্রিক করে আর্জেন্তিনাকে জিতিয়ে বৃহস্পতিবারই বার্সেলোনা পৌঁছেছেন মেসি।

মহড়া: অনুশীলনে পাস বাড়াচ্ছেন মেসি। শুক্রবার বার্সেলোনায়। ছবি: রয়টার্স

মহড়া: অনুশীলনে পাস বাড়াচ্ছেন মেসি। শুক্রবার বার্সেলোনায়। ছবি: রয়টার্স

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৮ ০৪:৩৫
Share: Save:

মাত্র ১৩ বছর বয়সে যে বার্সেলোনায় তাঁর পথচলা শুরু হয়েছিলে, কাকতালীয় ভাবে সেখান থেকেই বিশ্বকাপে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে নেমে পড়লেন লিয়োনেল মেসি।

হাইতির বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে দুরন্ত হ্যাটট্রিক করে আর্জেন্তিনাকে জিতিয়ে বৃহস্পতিবারই বার্সেলোনা পৌঁছেছেন মেসি। প্রিয় ক্যাম্প ন্যু-র কাছেই টিম হোটেলে আর্জেন্তিনা দলের সঙ্গে থাকছেন তিনি। বার্সেলোনার অনুশীলন মাঠেই বিশ্বকাপের চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করেছে আর্জেন্তিনা। আর মেসি ফিরে গিয়েছেন শৈশবে।

মেসি লা মাসিয়ায় সুযোগ পাওয়ার পরে পুরো পরিবারই আর্জেন্তিনার রোসারিয়ো ছেড়ে চলে এসেছিল বার্সেলোনায়। কিন্তু কয়েক দিন পরেই মা ফিরে গিয়েছিলেন রোসারিয়োতে। পরিবার থেকে দূরে থাকার যন্ত্রণা সত্ত্বেও বার্সেলোনা ছাড়ার কথা ভাবেননি মেসি। সেটাই যে তাঁর জীবনের সেরা সিদ্ধান্ত, খোলাখুলি বলছেন আর্জেন্তিনা অধিনায়ক। মেসি বলেছেন, ‘‘পরিস্থিতি তখন সম্পূর্ণ প্রতিকূল ছিল। এক দিকে বাড়ি ও পরিবারের সদস্যদের ছেড়ে থাকার যন্ত্রণা। অন্য দিকে ফুটবলার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন। আমি শেষ পর্যন্ত স্বপ্নের পিছনে ছোটার সিদ্ধান্তই নিয়েছিলাম। এখন উপলব্ধি করছি, জীবনের সেরা সিদ্ধান্তটা সে দিন নিতে পেরেছিলাম বলেই এই জায়গায় আসতে পেরেছি।’’ এখানেই শেষ নয়। মেসি মনে করেন, জীবনের সেরা গোল তিনি বাঁ পায়ে করেননি। করেছিলেন হেডে! ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে ম্যাচের ৭০ মিনিটে। শুধু নিজের সেরা গোলই নয়, মেসি জানালেন তাঁর দেখা সেরা তিন গোলরক্ষকের নামও। এঁরা হলেন জানলুইজি বুফন, ম্যানুয়েল নয়্যার ও ইকের ক্যাসিয়াস।

বার্সেলোনায় পৌঁছে মেসি যখন শৈশেবের স্মৃতিতে আচ্ছন্ন, আর্জেন্তিনা কোচ হর্হে সাম্পাওলির অস্ত্র তখন পেপ গুয়ার্দিওলার কোচিং নকশা!

গুয়ার্দিওলার অনুশীলনের বিশেষত্ব কী? ম্যান সিটি ম্যানেজার গভীরতার উপর জোর দেন। অর্থাৎ, দীর্ঘ সময় ধরে অনুশীলন করিয়ে যাওয়ার পক্ষপাতী নন তিনি। তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, অল্প সময়ের মধ্যে অনুশীলনকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া। তার পর যত বেশি সম্ভব ফুটবলারদের বিশ্রামের সুযোগ দেওয়া। সাম্পাওলি সেই পথেই হাঁটার ইঙ্গিত দিয়েছেন। মেসি-সহ আর্জেন্তিনার জাতীয় দলে অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা ইউরোপে খেলেন। তাঁদের কাছে অবশ্য এই ধরনের অনুশীলন নতুন নয়।

বুয়েনস আইরেস থেকে মেসিরা অবশ্য খালি হাতে বার্সেলোনায় আসেননি। বিশ্বকাপের জন্য পুরো সংসার নিয়ে এসেছেন তাঁরা। সেই তালিকায় রয়েছে ৭০০ টি-শার্ট, ৬০০ ট্রাউজার, ২০০ জোড়া মোজা, ১০০ জোড়া বুট, অনুশীলনের জন্য ২০০টি প্যান্ট, ১০০টি জ্যাকেট, ও ২০০টি বল। এখানেই শেষ নয়। ২০০ কিলোগ্রাম সেরবা (চায়ের মতো এক ধরনের পানীয়), ৫০ কেজি মিষ্টি আলু ও দুলসে লেচে (দুধ, চিনি ও ক্রিম দিয়ে তৈরি)। এ ছাড়া অন্যান্য নানা ধরনের খাদ্য সামগ্রী।

বার্সেলোনায় থেকেই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে ইজরায়েল উড়ে যাবে আর্জেন্তিনা। সেখান থেকেই সরাসরি রাশিয়া যাবেন মেসিরা। বিশ্বকাপে আর্জেন্তিনার প্রথম ম্যাচ ১৬ জুন আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE