জয়োল্লাস: মদ্রিচের উচ্ছ্বাস। ছবি: এএফপি
মাঝখানে ফিফার প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। তাঁর দু’পাশে দুই রাষ্ট্রপ্রধান। বাঁ দিকে ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট কলিন্দা গ্রাবার-কিতারোভিচ। ডান দিকে রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ। সোচিতে শনিবারের রাত প্রত্যক্ষ করল এক অবিশ্বাস্য দৃশ্য! টাইব্রেকারে ক্রোয়েশিয়া রাশিয়াকে হারিয়ে দিতেই দু’হাত তুলে নাচতে শুরু করলেন ক্রোয়েশিয়ার প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট কলিন্দা। আর সে দৃশ্যের গম্ভীর দর্শক তখন হতাশ রুশ প্রধানমন্ত্রী।
গল্প এখানেই শেষ হচ্ছে না। কোনও অস্বস্তির বালাই নেই। খেলা শেষ হতেই সটান তিনি ঢুকে পড়লেন ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলারদের ড্রেসিংরুমে। ফুটবলারদের গায়ে তখন সামান্য কিছু জামা-কাপড়। ওই অবস্থাতেই তিনি একে একে ফুটবলারদের আলিঙ্গন করতে শুরু করলেন। সবশেষে ওখানেই শুরু হল ফুটবলারদের নিয়ে তাঁর নাচ! জাগ্রেভ থেকে পুলা।
শনিবার ক্রোয়েশিয়ার হাজার হাজার মানুষও সারা রাত উৎসব করেছেন! যোগ্যতা অর্জন রাউন্ডে ধুঁকতে ধুঁকতে খেলে মূলপর্বে ওঠা একটা দল বিশ্বকাপের মঞ্চে সেমিফাইনাল খেলবে যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না কারও। অনেকে তো ভুলেই গিয়েছেন যে সদ্য সদ্য স্বাধীন ক্রোয়েশিয়া ১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল খেলেছিল।
আরও পড়ুন: অবিশ্বাস্য ফিটনেসেই তফাত গড়ে দিচ্ছেন সুবাসিচরা
শনিবার রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে রাশিয়াকে হারিয়ে ইভান রাকিতিচ বলেছেন, ‘‘এ বার ভাল কিছু করার জন্য আমরা পাগলের মতো খেটেছি।’’ সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারানোর ব্যাপারেও আত্মবিশ্বাসী তিনি। বলেছেন, ‘‘আশা করি ওদের হারানোর ক্ষমতা আমাদের আছে। চিরকালই আমরা বড় দলের বিরুদ্ধে খেলতে ভালবাসি। তাই ইংল্যান্ডকে ভয় পাওয়ার প্রশ্নই নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy