Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

বন্ধুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সতর্কিত সুবাসিচ

নিজের শহরে কাস্তিচের সঙ্গে একই ক্লাবে খেলতেন সুবাসিচ। ২০০৮-এ ক্লাবের এক ম্যাচে সাইডলাইনের ধারে এক দেওয়ালে ধাক্কা খেয়ে গুরুতর জখম হন কাস্তিচ।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৮ ০৫:০০
Share: Save:

শেষ ষোলোয় ডেনমার্কের বিরুদ্ধে টাইব্রেকারে তিনি তিনটি শট বাঁচানোর পরে যখন সতীর্থরা জয়োল্লাসে মেতে ছিলেন, তখন কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় দানিয়েল সুবাসিচকে। চরম সাফল্যের মধ্যে প্রিয় বন্ধু হরভোয়ে কাস্তিচের কথা মনে পড়ায় যে তাঁর এই কান্না, সে দিন তা বুঝতে দেরি হয়নি, তাঁর জার্সির নিচে গেঞ্জিতে নিহত কাস্তিচের ছবি দেখতে পাওয়ায়। খেলার পরে সেই গেঞ্জি জার্সির উপরেই চাপিয়ে নেন তিনি। এবং এই নিয়েই ক্রোয়েশিয়ার গোলকিপার ফিফার কুনজরে পড়ে গেলেন। এমন কাণ্ড যেন আর না করেন সুবাসিচ, ফিফা সতর্ক করে দিয়েছে তাঁকে।

নিজের শহরে কাস্তিচের সঙ্গে একই ক্লাবে খেলতেন সুবাসিচ। ২০০৮-এ ক্লাবের এক ম্যাচে সাইডলাইনের ধারে এক দেওয়ালে ধাক্কা খেয়ে গুরুতর জখম হন কাস্তিচ। পরে মারা যান তিনি। তার পর তাঁর শোক বুকে নিয়ে খেলে চলেছেন সুবাসিচ। প্রিয় বন্ধুর প্রতি এমন শ্রদ্ধার্ঘ দিতে তাঁকে আগেও দেখা গিয়েছে। কিন্তু বিশ্বকাপের মতো আসরে এমন ব্যক্তিগত আবেগ প্রকাশ করার ওপর বিধিনিষেধ জারি করল ফিফা। সে দিন সেই গেঞ্জিতে কাস্তিচের ছবি ওপর লেখা ছিল ‘ফরএভার’ বা চিরকালের ও ছবির নিচে লেখা ছিল ২৪, যা ছিল মৃত্যুর সময় কাস্তিচের বয়স। ফিফা জানিয়ে দিয়েছে, মাঠে এই গেঞ্জি পরে যেন আর না দেখা যায় সুবাসিচকে। মঙ্গলবার সেই ম্যাচের পরে সাংবাদিকরা তাঁর প্রয়াত বন্ধুকে নিয়ে জিজ্ঞেস করতে ফের চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি ৩৩ বছর বয়সি মোনাকোর এই গোলরক্ষক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE