Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
FIFA World Cup 2018

আক্রমণের তীক্ষ্ণতাই এগিয়ে রাখছে ফ্রান্সকে

কয়েক ঘণ্টা পরেই বিশ্বকাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল। মুখেমুখি ফ্রান্স ও উরুগুয়ে। যা হয়ে উঠতেই পারে উত্তেজক থ্রিলার। এমবাপে, গ্রিজম্যান, পোগবাদের আক্রমণ ঠেকানোই পরীক্ষা গোডিনদের।

সম্মুখ সমরে এমবাপে-সুয়ারেজ।

সম্মুখ সমরে এমবাপে-সুয়ারেজ।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৮ ১৪:১৮
Share: Save:

এমবাপে বনাম সুয়ারেজ। নাম্বার টেন বনাম নাম্বার নাইন। নিঝনি নভগরদ স্টেডিয়ামে ফ্রান্স বনাম উরুগুয়ের কোয়ার্টার ফাইনালে আদতে লড়াই এই দুই স্ট্রাইকারের।

ফুটবলে গোলই আসল। আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে ১৯ বছর বয়সি কিলিয়ান এমবাপের দুই গোল সেজন্যই তাঁকে নায়কের আসনে বসাচ্ছে। আবার চোটের জন্য এডিনসন কাভানি খেলতে না পারলে গোল করে উরুগুয়েকে জেতানোর দায়িত্ব নিতে হবে লুই সুয়ারেজকেই। এটা ঘটনা, উরুগুয়ে যতটা গোলের জন্য নির্ভর করছে সুয়ারেজের ওপর, ফ্রান্সের দায়িত্ব ততটা নিতে হচ্ছে না এমবাপেকে। কারণ, তাঁর পাশে আরও কয়েকজন দুরন্ত ফুটবলার রয়েছেন। আন্তোনিও গ্রিজম্যান, অলিভার জিহু, পল পোগবারাও হয়ে উঠতে পারেন এই ম্যাচের নায়ক। ফলে, এমবাপে ততটা চাপে নেই, যতটা সুয়ারেজের থাকার কথা।

ইউরোপিয়ান ঘরানার সঙ্গে লাতিন আমেরিকার লড়াই হিসেবে দেখা হচ্ছে এই ম্যাচকে। কিন্তু, উরুগুয়ে ইউরোপীয় ঘরানাও কিছুটা রপ্ত করেছে। ক্রমপর্যায় অনুসারে ফ্রান্স হল বিশ্বের সাত নম্বর দল। উরুগুয়ে প্রথম দশে নেই, রয়েছে চোদ্দ নম্বরে। ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেশঁ একঝাঁক প্রতিভাবান ফুটবলার পেয়েছেন দলে। মাঝমাঠ আর আক্রমণ রীতিমতো তীক্ষ্ণ। বল দখলে রেখে আক্রমণ ওঠেন পোগবা-কান্তেরা। ফাইনাল থার্ডে দেন কামড়।

বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। এই গ্রুপ থেকেই রাশিয়ার টিকিট না পেয়ে বিদায় নিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। যা ইঙ্গিত দিচ্ছে ফরাসি দল কতটা শক্তিশালী। অবশ্য সদ্য লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনাও তা টের পেয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফ্রান্সের শক্তি হল মাঝমাঠ ও আক্রমণ। গ্রিজম্যান, জিহুর সঙ্গে এমবাপের ত্রিভূজ বেশ বিপজ্জনক।

উরুগুয়ের প্রধান শক্তি হল আক্রমণে সুয়ারেজ-কাভানি জুটি। মুশকিল হল, চোটের জন্য কাভানি খেলতে পারবেন কিনা, তা পরিষ্কার নয়। না খেলল স্ট্রাইকার হিসেবে শুধু সুয়ারেজকে খেলানো হতে পারে। সেক্ষেত্রে রক্ষণাত্মক হয়ে উঠতে পারেন কোচ অস্কার তাবারেজ। রক্ষণে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অভিজ্ঞ গোডিন। রক্ষণ করতে করতে আচমকা কাউন্টার অ্যাটাকে উঠে আসতে পারে উরুগুয়ে। তবে ফ্রান্সের মাঝমাঠকে কতটা নিষ্ক্রিয় করতে পারা যাবে, তার ওপর নির্ভর করছে উরুগুয়ের সাফল্য। সেক্ষেত্রে মিডফিল্ড থেকেই জোনাল মার্কিং করতে হবে।

এই ম্যাচকে টাইব্রেকার পর্যন্ত টানার চেষ্টা করতে পারে উরুগুয়ে। কারণ, জেতার সম্ভাবনা ওখানেই বেশি। ফ্রান্স নিশ্চয়ই চাইবে নব্বই মিনিটে ম্যাচ শেষ করে ফেলতে।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

আরও পড়ুন: সুয়ারেসদের বিপরীতে নজরে আজ ‘থার্টি সেভেন’

আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ ফুটবল কেন চার বছর অন্তর হয় জানেন?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE