আগমন: মস্কো বিমানবন্দরে জার্মানির খেদিরা, মেসুত ওজিলরা। ছবি: রয়টার্স
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এর্দোয়ানের সঙ্গে মেসুত ওজিল ও ইলখাইন গুন্ডোয়ানের ছবি তোলার জের প্রভাবিত করতে পারে ওয়াকিম লো-র জার্মান বিশ্বকাপের দল নির্বাচনে। এমনটাই অনুমান, অলিভার বিয়েরহফের।
প্রাক্তন জার্মান তারকা বিয়েরহফ রাশিয়া বিশ্বকাপে নিজের দেশের ফুটবল দলের ব্যবসায়িক ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এমনিতে লোককে খুশি করতে কোনও সিদ্ধান্ত নেয় না লো। সস্তা জনপ্রিয়তার তত্ত্বেও ওর বিশ্বাস নেই। অনুশীলন ও ম্যাচে ফুটবলারদের পারফরম্যান্সই ওর বিচারের শেষ কথা। কিন্তু ওই দু’জন ফুটবলারকে ঘিরে কেলেঙ্কারির যে ঘটনা ঘটেছে তা সামান্য হলেও এ বার দল নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে বলে আমার মনে হয়।’’
ওজিল ও গুন্ডোয়ান— দু’জনেরই শহর জার্মানির গেলেসেনকারখেনে। দু’জনেরই বাবা-মা তুরস্কজাত। গত মে মাসে তাঁরা তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে লন্ডনে ছবি তোলেন। জার্মানির বিশ্বকাপ দল ঘোষণার এক দিন আগে সে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় চলে আসে। এবং তার পর পরই জার্মানি যথাক্রমে অস্ট্রিয়া ও সৌদি আরবের সঙ্গে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে। এই দুটি ম্যাচের সময়ই ওজিল ও গুন্ডোয়ানকে খেলানো নিয়ে জার্মানিতে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল।
তুরস্কের সঙ্গে জার্মানির সম্পর্ক এই মুহূর্তে খুবই খারাপ। জার্মান সমাজ তুরস্কের অভিবাসীদের প্রতি এখন রীতিমতো ক্ষিপ্ত। বিশেষ করে ২০১৭ সালে তুরস্ক বংশোদ্ভূত জার্মান সাংবাদিক দেনিজ ইউসেল গ্রেফতার হওয়ার পরে। তুরস্ক সরকার তাঁর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনেছে।
এ দিকে বিয়েরহফ বলেছেন, ‘‘অভিবাসীদের নিয়ে আলোচনা চলতেই থাকবে। ওজিলদের ছবিটা দিয়েও শেষ হবে না আলোচনা। আমার অনুরোধ একটাই। বিশ্বকাপের সময় খেলোয়াড়দের মনটা যাতে পুরোপুরি ফুটবলেই থাকে সেটা যেন সবাই মাথায় রাখেন।’’
একই দাবি করেছেন জার্মান গোলরক্ষক মানুয়েল নয়্যারও। ইতালির এক দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘দয়া করে সবাই পুরো দেশটার কথা ভাবুন। শুধু দু’জন ফুটবলারকে নিয়ে ভাবার কোনও দরকার নেই।’’ গোটা পরিস্থিতি পর্বেক্ষণ করে বিয়েরহফ বলতে চেয়েছন, এই ধরনের ঝামেলায় যে সমস্ত ফুটবলারের মন খেলা থেকে সরে যেতে পারে, তাঁদের হয়তো ওয়াকিম লো তাঁর চূড়ান্ত এগারোতে বিশ্বকাপের সময় রাখবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy