প্রস্তুতি: ইংল্যান্ডের প্র্যাক্টিসে হাল্কা মেজাজে হ্যারি কেন। ছবি: গেটি ইমেজেস।
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে জোড়া গোল করে দলকে জিতিয়ে তাঁকে নিয়ে সমর্থকদের প্রত্যাশার স্তর যে জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেন, রবিবার পানামার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচেও তা তাঁকে সামলাতে হবে বলে মনে করছেন তাঁদের কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। প্রথম ম্যাচে তিউনিশিয়াকে ২-১ হারানোর পরে এ বার কেনদের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ পানামা। যাঁদের শরীরসর্বস্ব ফুটবল নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ইংরেজ কোচ।
এমনিতেই দলে চোট-আঘাত সমস্যা রয়েছে। দালে আলি, রাহিম স্টার্লিংদের সুস্থ করার প্রক্রিয়া চলছে। তার উপর যদি পানামার আগ্রাসী ফুটবলের শিকার হয়ে যদি দলের আরও কয়েকজন চোট পেয়ে যান, তা হলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। ইংল্যান্ডকে শেষ ম্যাচে খেলতে হবে গ্রুপে তাদের কঠিনতম প্রতিদ্বন্দ্বী বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে। যারা শনিবার তিউনিশিয়াকে ৫-২ গোলে হারাল। তাই পানামা ম্যাচের পাশাপাশি সেই ম্যাচের দল নিয়েও ভাবনা-চিন্তা করে রাখতে হচ্ছে সাউথগেটকে।
আলি ও স্টার্লিংকে পরের ম্যাচের জন্য মজুত করে রাখা হচ্ছে। যাতে তাঁরা ওই ম্যাচে তরতাজা হয়ে নামতে পারেন। শনিবার আলি দলের অনুশীলনে নামেন। সতীর্থদের সঙ্গে হাল্কা অনুশীলন করেন তিনি। কিন্তু রবিবার তাঁর খেলার সম্ভাবনা কম। একই অবস্থা স্টার্লিংয়েরও।
ইংল্যান্ড বনাম পানামা
টিভিতে বিকেল ৫.৩০ থেকে
দিন দুয়েক আগে সাউথগেটের সহকারী স্টিভ হল্যান্ডের হাতে থাকা নোটবইয়ের পাতার ছবি তুলে প্রকাশ করা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে মনকষাকষি শুরু হয়ে গিয়েছে ইংল্যান্ডের কোচের। নোটবইয়ের ওই পাতায় রবিবারের ম্যাচের প্রথম একাদশ লেখা ছিল। যা থেকে ফাঁস হয়ে যায় যে, পানামার বিরুদ্ধে আলির জায়গায় খেলতে পারেন রুবেন লোফ্টাস-চিক ও স্টার্লিংয়ের জায়গায় নামতে পারেন র্যাশফোর্ড। যে ঘটনার পরে সাউথগেট বলেন, ‘‘আমাদের দেশের সংবাদমাধ্যমকে ঠিক করতে হবে, তাঁরা আমাদের জাতীয় দলকে সাহায্য করবেন কী না। ম্যাচের তিন দিন আগেই বিপক্ষ যদি আমাদের দল জেনে ফেলে, তা হলে তো সেটা ভাল কথা নয়।’’ হল্যান্ড অবশ্য এর জন্য দলের সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন বলে জানান কোচ। তবে তার চেয়েও বড় কথা ফাঁস হয়ে যাওয়া দল কি রবিবার মাঠে নামাবে ইংল্যান্ড? ও দিকে ইংল্যান্ডের দল ফাঁস হয়ে যাওয়ায় তাঁদের বাড়তি কোনও সুবিধা হবে না বলেই মনে করেন পানামার কোচ হার্নান দারিও গোমেজ়। শনিবার তিনি বলেন, ‘‘ইংল্যান্ড শক্তিশালী ঠিকই, কিন্তু ওদের দলের প্রত্যেকের সম্পর্কেই আমাদের হোমওয়ার্ক করা আছে। তাই যে-ই খেলুক, আমরা সেই অনুযায়ীই খেলব।’’ ইংল্যান্ড ম্যাচের ভিডিয়ো দেখে কোচের বিশ্লেষণ, ‘‘ওরা খুব কৌশলনির্ভর ফুটবল খেলে। বল দখল ও ম্যাচের গতি বাড়ানোয় তুখোড়। আৈর ওদের ওয়ান টাচ ফুটবলের জবাব নেই। ওদের রিজার্ভ বেঞ্চও শক্তিশালী। আমরা কাল সবচেয়ে কঠিন ম্যাচটা খেলতে নামছি।’’ তবে বেলজিয়ামের কাছে তিন গোলে হারা ম্যাচের দলই নামাবেন বলে জানান গোমেজ়।
প্রথম ম্যাচ থেকে ইংল্যান্ড দলের কেন-নির্ভরতার ছবিটা যে ভাল মতোই উঠে এসেছে, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের স্ট্রাইকার র্যাশফোর্ড তা মানতে রাজি নন। বলেন, ‘‘ও সব সময় নিজেকে ঠিক জায়গায় নিয়ে চলে আসে। আমরা ওকে খুঁজে নিয়ে বলটা ঠিক জায়গায় রাখার চেষ্টা করি। তা না করতে পারলেও কেন ঠিক গোল তৈরি করে নেয়।’’ রবিবারও সেই কেনের দিকেই তাকিয়ে থাকবে ইংল্যান্ড। কেনকে আটকানোর ছকও তৈরি করেছে পানামা। তবে তা কাজে লাগবে কি না, সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy