মস্কোর রেড স্কোয়ারে ফরাসি সমর্থকরা। ছবি: এএফপি।
কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু বিশ্বকাপ ফাইনাল চলছে তার কাউন্ট ডাউন। সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের চোখ থাকবে আজ মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে। কে জিতবে, ফ্রান্স না ক্রোয়েশিয়া, আজই অবসান ঘটবে এই তর্কের।
ফ্রান্স কি দ্বিতীয়বারের জন্য জিততে পারবে বিশ্বকাপ? ক্রোয়েশিয়া কি প্রথমবারের জন্য চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে? হুগো লরিস না লুকা মদরিচ, কার হাতে উঠবে কাপ? কাপ-যুদ্ধে চোখ রাখার আগে ফুটবলপ্রেমীদের অবশ্য জেনে নেওয়া উচিত প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল সম্পর্কে কিছু তথ্য।
• ফ্রান্সের অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন দিদিয়ের দেশঁ। এবার ফ্রান্সের কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জেতার হাতছানি তাঁর সামনে। এর আগে ব্রাজিলের মারিও জাগালো ও জার্মানির ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার ফুটবলার ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপে জিতেছিলেন। দেশঁ জিতলে এই তালিকায় তিনি হবে তৃতীয় জন।
ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশঁ কি স্পর্শ করবেন জাগালো, বেকেনবাওয়ারকে? ছবি: রয়টার্স।
• জানেন কি, ফ্রান্সের তুলনায় ক্রোয়েশিয়া একটা ম্যাচ বেশি খেলেছে বিশ্বকাপে? সংখ্যার দিক দিয়ে নয়। সময়ের দিক দিয়ে। নকআউটে মদরিচদের তিনটি ম্যাচই অতিরিক্ত সময়ে গিয়েছে। অর্থাত্, ৩০ মিনিট করে তিন ম্যাচ, মানে ৯০ মিনিট বাড়তি খেলা। এর সঙ্গে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল ও কোয়ার্টার ফাইনাল, দুটো ম্যাচের ফয়সালা হয়েছে টাইব্রেকারে।
ক্রোয়েশিয়াকে চ্যাম্পিয়ন করাতে পারবেন মদরিচ? ছবি: রয়টার্স।
• ১১ বছরের নাথানিয়া জন ও ১০ বছরের ঋষি তেজ। এই দুই ভারতীয় বিশ্বকাপ ফাইনালে উপস্থিত থাকবেন ফিফার অফিসিয়াল ম্যাচ ক্যারিয়ার হিসেবে। নাথানিয়া এর আগে ব্রাজিল-কোস্টা রিকা ম্যাচে বলবাহক ছিল। বেলজিয়াম-পানামা ম্যাচে বলবাহক ছিল ঋষি। যা কম বড় সম্মান নয়। এই দু’জনের মাধ্যমে মস্কোর ফাইনালে উপস্থিত ভারতও।
রবিবার মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে এ ভাবেই বল হাতে নামবেন ঋষি। থাকবেন নাথানিয়াও। ফাইল ছবি।
• ক্রোয়েশিয়ার জনসংখ্যা মাত্র ৪.২ মিলিয়ন। মানে মাত্র ৪২ লক্ষ। ১৯৫০ সালে উরুগুয়ের পর বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলা সবচেয়ে ছোট দেশ। যারা স্বাধীনতা পেয়েছে ১৯৯১ সালে। ১৯৯৮ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলেই উঠেছিল সেমিফাইনালে। এ বার উঠেছে ফাইনালে।
১৯৯৮ বিশ্বকাপে সুকেরের ক্রোয়েশিয়া তৃতীয় হয়েছিল। ছবি: রয়টার্স।
• ফ্রান্স এই নিয়ে তিনবার উঠল ফাইনালে। ১৯৯৮ সালে প্রথমবার উঠেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। সেবার বিশ্বকাপের আসর বসেছিল ফ্রান্সেই। ২০০৬ সালে ইতালির কাছে ফাইনালে হারে ফ্রান্স। সেবার আয়োজক ছিল জার্মানি। রাশিয়া বিশ্বকাপে তৃতীয়বারের জন্য ফাইনালে উঠেছে তারা।
২০০৬ বিশ্বকাপ ফাইনালে ইতালির মাতেরাজ্জিকে জিদানের ঢুঁসো। ফাইল ছবি।
• ফ্রান্সের স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপের বয়স ১৯। এবারের বিশ্বকাপে ফাইনালের আগে পর্যন্ত করে ফেলেছেন তিন গোল। ১৯৫৮ বিশ্বকাপে টিনএজার পেলেও একের বেশি গোল করেছিলেন। এমবাপে স্পর্শ করলেন তাঁকে।
এমবাপে কি ফাইনালেও গোল করবেন? ছবি: এএফপি।
এমবাপে রয়েছেন গোল্ডেন বলের দৌড়েও। তাঁর সঙ্গে দৌড়ে রয়েছেন মদরিচ। বেলজিয়ামকে প্রথমবারের জন্য বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থানে আনা এডেন অ্যাজারের নামও শোনা যাচ্ছে সোনার বলের দৌড়ে।
সোনার বুট নিয়ে অবশ্য খুব বেশি চিন্তার অবকাশ নেই। অবিশ্বাস্য কিছু না হলে তা ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেনই পাচ্ছেন। তিনি করেছেন ছয় গোল। ফ্রান্সের এমবাপে ও গ্রিজম্যানের রয়েছে তিন গোল। এই দু'জন একমাত্র হ্যাটট্রিক করলেই স্পর্শ করবেন হ্যারি কেনকে। যা অসম্ভব না হলেও সহজও নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy