মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি ছিলেন। অথচ একই শহরে আইসল্যান্ডের ম্যাচের প্রস্তুতিতে লিয়োনেল মেসিরা ব্যস্ত থাকলেও তাঁকে দেখা যায়নি আর্জেন্টিনা শিবিরে। তিনি, দিয়েগো মারাদোনা।
সপ্তাহখানেক আগেও মেসির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন ১৯৮৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার জয়ের নায়ক। আর্জেন্টিনা ভক্তেরা আশা করেছিলেন, মারাদোনা নিশ্চয়ই বিশ্বকাপে অভিযান শুরু করার আগে মেসিদের শুভেচ্ছা জানাতে যাবেন। কিন্তু ব্রোননিৎস্কি ট্রেনিং সেন্টারে শুক্রবার দেখা যায়নি ফুটবল রাজপুত্রকে।
কেন গেলেন না মারাদোনা? ফুটবল রাজপুত্রের ঘনিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে উঠে এল চমকপ্রদ তথ্য। আর্জেন্টিনার কোচ হর্হে সাম্পাওলিকে একেবারেই পছন্দ করেন না মারাদোনা। দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক রীতিমতো তিক্ত। মস্কো থেকে ফোনে মারাদোনার এক ঘনিষ্ট বন্ধু আনন্দবাজারকে বললেন, ‘‘দিয়েগোর কাছে দেশ সবার আগে। দু’বছর আগে ডেভিস কাপ ফাইনালেও আর্জেন্টিনাকে সমর্থন করতে ক্রোয়েশিয়ার জাগরেব পৌঁছে গিয়েছিল। সাম্পাওলি কোচ না থাকলে হয়তো দিয়েগোকে দেখা যেত আর্জেন্টিনার অনুশীলনে।’’
সাম্পাওলির সঙ্গে মারাদোনার সংঘাত দীর্ঘদিনের। ২০১৮ বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করার পরেই সাম্পাওলির তীব্র সমালোচনা করেছিলে তিনি। শুধু তাই নয়। আর্জেন্টিনা কোচের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার বিস্ফোরক অভিযোগও করেছেন। মারাদোনা বলেছিলেন, ‘‘২০১৬ সালে ডেভিস কাপ ফাইনালের সময় সাম্পাওলি আমাকে ফোন করেছিল। সেভিয়ার ফুটবলের উন্নতির জন্য একসঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছিল। অথচ আর্জেন্টিনার জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার পরে একবারের জন্যেও আমার নাম উল্লেখ করেনি।’’
সাম্পাওলিও ছেড়ে কথা বলেননি। মারাদোনার সমালোচনার জবাবে জানিয়েছিলেন, বিশ্বকাপের জন্য সেরা দলই তিনি নির্বাচন করেছেন। শুধু তাই নয়। বলে দিয়েছিলেন, ‘‘কে কী বলছেন তা নিয়ে ভাবতে চাই না। আমি যা ঠিক মনে হবে, তাই করব।’’
শনিবার স্পাটার্ক স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা বনাম আইসল্যান্ড ম্যাচে কি দেখা যাবে ফুটবল কিংবদন্তিকে? মারাদোনার ঘনিষ্টদের দাবি, খেলা দেখতে মারাদোনা হয়তো আসবেন। আর্জেন্টিনা জিতলে তাঁকে উচ্ছ্বাস করতেও দেখা যাবে। কিন্তু সাম্পাওলিকে অভিনন্দন জানাবেন না!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy