ছবি: রয়টার্স।
বিশ্বকাপের আগে আয়োজক রাশিয়াকে নিয়ে অনেকে তেমন আশা না করলেও প্রথম দুই ম্যাচেই তারা বুঝিয়ে দিয়েছে, তারা শুধু আয়োজক দেশ হিসেবে এই বিশ্বকাপে খেলছে না। তবে রাশিয়াকে গ্রুপ পর্বের সবচেয়ে কঠিন ম্যাচটা নামতে হবে সোমবার সামারায়। যে ম্যাচ নিয়ে রীতিমতো ফুটছে সে দেশের সমর্থকেরা।
কসমস এরিনার প্রায় ৪৫ হাজার আসনের স্টেডিয়াম তো সোমবার উপচে পড়বেই। স্টেডিয়ামের বাইরে জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখার জন্য যে পরিমান সমর্থকেরা আসবেন, তাঁদের সংখ্যার কথা আগাম জানতে পেরে নাকি বেশ চিন্তায় পড়ে গিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
মিশর ও উরুগুয়েকে হারিয়ে শেষ ১৬-য় উঠে গেলেও এখনও সেরা খেলাটা দেখাতে পারেনি তাঁর দল, এমনই দাবি লুইস সুয়ারেসদের কোচ অস্কার তাবারেজের। এই ম্যাচে নামার আগের দিন তাই বলেই দিলেন, ‘‘রাশিয়াকে হারাতে গেলে সেরা খেলাটাই খেলতে হবে আমাদের। যা আমরা এখনও পারিনি। তার সঙ্গে চাই স্নায়ুশক্তি। গ্যালারির পুরো সমর্থন ওরা পাবে।’’ এই পরিস্থিতিতে দলের ছেলেদের ২০১১-র কোপা আমেরিকার স্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছেন তাবারেজ। বলেন, ‘‘সে বারও আমাদের একই রকম পরিস্থিতি ছিল। শুরু থেকেই নিজেদের সেরা ফর্মে পৌঁছতে পারিনি আমরা। তবু নক-আউট পর্বের প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে হারিয়েছিলাম আমরা। নিজেদের গুণগুলো নিয়ে বসে থাকলে চলবে না। ঘাটতিগুলো মেটাতে হবে এ বার। কারণ, নক-আউটের ভাবনাও শুরু করে দিতে হচ্ছে।’’ ১৯৫৪-র পর এই প্রথম বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচেই জিতল উরুগুয়ে। সোমবার তৃতীয় ম্যাচেও রাশিয়াকে সুয়ারেসরা হারাতে পারেন কি না, সেটাই দেখার। তবে কোচের ধারণা, প্রথম দুই ম্যাচে যে ফুটবল খেলেছেন তাঁরা, সে রকম খেললে, কঠিন হবে। এই ম্যাচে যে দল জিতবে, সেই দলই গ্রুপসেরা হয়ে নক আউটে যাবে। আর ম্যাচ ড্র হলে গোলপার্থক্য দেখা হবে, যাতে রাশিয়া অনেক এগিয়ে। সুয়ারেসরা যেখানে মাত্র দু’গোল দিয়েছেন দুই ম্যাচে, সেখানে রাশিয়া দিয়েছে আট গোল। তাই উরুগুয়েকে প্রথম দল হিসেবে উঠতে গেলে জিততেই হবে। যার জন্য তাবারেজ এই ম্যাচে দল নিয়ে কোনও গবেষণায় যেতে চান না। বলেন, ‘‘কাউকে বিশ্রাম দেওয়ার কথা ভাবছিই না। সাতটা ম্যাচ খেলার প্রস্তুতি নিয়ে এখানে এসেছি আমরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy