সাক্ষাৎ: বিশ্বকাপের শুভেচ্ছা। রাজধানী লিসবনে অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর সঙ্গে পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো দে সৌসা। এপি
দু’বছর আগে তাঁর নেতৃত্বেই প্রথম বার ইউরোপ সেরা হয়েছিল পর্তুগাল। এখন তাঁকে কেন্দ্রে করেই প্রথম বার বিশ্বসেরা হওয়ার স্বপ্ন দেখছে কিংবদন্তি ইউসেবিয়োর দেশ। তিনি— ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।
বিশ্বকাপের জন্য শুভেচ্ছা জানাতে পর্তুগাল দলকে বুধবার রাজধানী লিসবনে ন্যাশনাল কোচেস মিউজিয়ামে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেল দে সৌসা। অভিভূত রোনাল্ডো বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপ আমরা ফেভারিট নই ঠিকই। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই রাশিয়া যাব। কারণ, ফুটবলে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়।’’
বিশ্বকাপে ‘বি’ গ্রুপে পর্তুগালের সঙ্গেই রয়েছে স্পেন, মরক্কো ও ইরান। ১৫ জুন সোচিতে প্রথম ম্যাচেই রোনাল্ডোদের প্রতিপক্ষ স্পেন। শুরুতেই যে কঠিন লড়াই, গোপন করেননি সি আর সেভেন। তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চাই। গ্রুপ পর্যায়ে প্রথম ম্যাচটাই সব চেয়ে কঠিন। কিন্তু আমাদের ভয় পেলে চলবে না। নিজেদের উপর আস্থা রাখতে হবে।’’ রোনাল্ডোর মতে, স্বপ্ন না দেখলে সাফল্য পাওয়া সম্ভব নয়। তিনি বলেছেন, ‘‘ফুটবলারদের সব সময় স্বপ্ন দেখা উচিত। বিশ্বাস করি, বিশ্বকাপে আমরা সবাই নিজেদের সেরাটাই উজাড় করে দিতে পারব।’’
প্রেসিডেন্টের সামনেই ২০১৬ ইউরো কাপের উদাহরণ দিয়ে সতীর্থদের উদ্বুদ্ধ করেছেন পর্তুগাল অধিনায়ক। তিনি বলেছেন, ‘‘দু’বছর আগে ইউরো কাপে আমাদের মূল মন্ত্র ছিল শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে যাওয়া। এবং নিজেদের প্রতি কখনও আস্থা না হারানো। রাশিয়াতেও একই লক্ষ্য নিয়ে এগোতে হবে।’’ তিনি যোগ করেছেন, ‘‘পর্তুগালের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ আমরা পেয়েছি। দেশের সম্মানরক্ষার দায়িত্ব আমাদেরই নিতে হবে।’’ ফ্রান্সে ইউরো কাপের ফাইনালে অবশ্য শুরুতেই চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন রোনাল্ডো। কিন্তু সাইড লাইনের ধারে ধারে উজ্জীবিত করেছিলেন সতীর্থদের।
তবে পর্তুগাল প্রেসিডেন্ট বিশ্বকাপের জন্য বিদায় সংবর্ধনা জানালেও এখনই দেশ ছাড়ছেন না রোনাল্ডোরা। আলজিরিয়ার বিরুদ্ধে শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেই রাশিয়া রওনা হবে পর্তুগাল দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy