Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

দীর্ঘ আট বছর পর বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ জিতল ইংল্যান্ড, নায়ক হ্যারি কেন

প্রথমার্ধে আফ্রিকার দলটির গোলদাতা ফারজানি সাস্‌সি তাঁদের বক্সে হ্যারি কেনকে জাপটে ধরে ফেলে দিলেন। বল ইংল্যান্ড অধিনায়কের কাছেই আসছিল। নিঃসন্দেহে পেনাল্টি।

জয়সূচক: একেবারে শেষ মুহূর্তে টিউনিশিয়াকে দ্বিতীয় গোল দিয়ে উল্লাস ইংরেজ ক্যাপ্টেন-স্ট্রাইকারের। সোমবার ভলগোগ্রাদ এরিনায়। ছবি: রয়টার্স

জয়সূচক: একেবারে শেষ মুহূর্তে টিউনিশিয়াকে দ্বিতীয় গোল দিয়ে উল্লাস ইংরেজ ক্যাপ্টেন-স্ট্রাইকারের। সোমবার ভলগোগ্রাদ এরিনায়। ছবি: রয়টার্স

সুব্রত ভট্টাচার্য
শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৮ ০৪:১৫
Share: Save:

ইংল্যান্ড ২ : টিউনিশিয়া ১

ভিডিয়ো অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) নিয়ে এ বারের বিশ্বকাপে খুব হইচই হচ্ছে। পাঁচ দিন বিশ্বকাপ হয়ে গেল। গত কয়েক দিন খেলা দেখার পরে আমার মনে হচ্ছে, এই ‘ভার’ প্রযুক্তির ব্যবহারে আরও অবস্থা করুণ হচ্ছে দলগুলোর।

সোমবারেও ইংল্যান্ড বনাম টিউনিশিয়া ম্যাচে সেই রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়েই সমস্যা প্রকট হল। তা সত্ত্বেও হ্যারি কেনের গোলের জন্য ছটফটানি ইংল্যান্ডকে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনার মতো আটকে দেয়নি। অধিনায়কের জোড়া গোলে দীর্ঘ আট বছর পরে বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ জিতল ইংল্যান্ড।

প্রথমার্ধে আফ্রিকার দলটির গোলদাতা ফারজানি সাস্‌সি তাঁদের বক্সে হ্যারি কেনকে জাপটে ধরে ফেলে দিলেন। বল ইংল্যান্ড অধিনায়কের কাছেই আসছিল। নিঃসন্দেহে পেনাল্টি। কিন্তু তা দেওয়া হয়নি। অথচ নাইজেরিয়া বনাম ক্রোয়েশিয়া ম্যাচে একই পরিস্থিতিতে পেনাল্টি পেয়েছিল ক্রোটরা। তা হলে ভার প্রযুক্তিতেও সেই তো দলগুলোকে রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে ভুগতে হচ্ছে।

ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট ম্যাচটা শুরু করেছিলেন ৩-৫-২ ফর্মেশনে। বিপক্ষ টিউনিশিয়া খেলছিল ৪-৩-৩। প্রতি-আক্রমণে আসা আফ্রিকার দলটির বিরুদ্ধে তাই রক্ষণের সময় তিন ডিফেন্ডারের সঙ্গে দুই উইং হাফ নেমে আসায় পাঁচ জনকে পাচ্ছিল ইংল্যান্ড। আর আক্রমণের সময় রাহিম স্টার্লিং ও হ্যারি কেনের সঙ্গে বিপক্ষ বক্সে পৌঁছে যাচ্ছিলেন জেসি লিনগার্ড-সহ তিন জন। অর্থাৎ রক্ষণের সময় পাঁচ জন নামবে। আর আক্রমণের সময় পাঁচ জন বিপক্ষ বক্সে হানা দেবে। এটাই ছিল স্ট্র্যাটেজি।

এ বার ম্যাচের নায়ক হ্যারি কেন। দুই অর্ধে জোড়া গোল করলেন তিনি। আসলে এই ছেলেটির একটা বড় গুণ গোলের গন্ধ পাওয়া। প্রথম গোলের সময় বিপক্ষ গোলকিপার ভুল করেছিলেন। তাঁর হাত থেকে বল বেরিয়ে আসছে, তা লক্ষ করে ঠিক জায়গা মতো পৌঁছে গিয়েছিলেন হ্যারি। দ্বিতীয় গোলের সময়েও ঠিক সুযোগসন্ধানী স্ট্রাইকারের মতো গোলটা করে গেলেন এই ন’নম্বর জার্সিধারী। টিউনিশিয়ার পেনাল্টি পাওয়ার সিদ্ধান্ত আমি নির্ভুলই বলব। কারণ, কাইল ওয়াকার কনুই চালিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি নিজের গোলের দিকে মুখ করে বল দেখবেন কেন? সব শেষে একটা কথা, জেসি লিনগার্ড এ দিন এমন সব সুযোগ নষ্ট করলেন, যা ক্ষমার অযোগ্য। হয়তো এরই মাসুল গুনতে হত ইংল্যান্ডকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE