Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

আশি বছরে প্রথম, গ্রুপ টপকাতে পারল না জার্মানি

একটা তথ্য দেখছিলাম যে, আশি বছরের মধ্যে প্রথম বার গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে গেল জার্মানি। উল্টো দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দল।

আলো-আঁধার:  জার্মানির বিরুদ্ধে দক্ষিণ কোরিয়ার দ্বিতীয় গোল সনের। ছবি: গেটি ইমেজেস

আলো-আঁধার:  জার্মানির বিরুদ্ধে দক্ষিণ কোরিয়ার দ্বিতীয় গোল সনের। ছবি: গেটি ইমেজেস

মেহতাব হোসেন
শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০১৮ ০৪:২৫
Share: Save:

দক্ষিণ কোরিয়া ২ : জার্মানি ০

এই কি বিশ্বকাপের জীবন!

গত বারের চ্যাম্পিয়নরাই কি না রাশিয়ায় বিদায় নিল দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে হেরে। এর আগেও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দেশ পরের বার এসে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে। কিন্তু জার্মানিকে যে ভাবে বিনা লড়াইয়ে মুকুট আত্মসমর্পণ করে দিয়ে যেতে দেখলাম, সেটাই খুব অবাক করেছে।

একটা তথ্য দেখছিলাম যে, আশি বছরের মধ্যে প্রথম বার গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে গেল জার্মানি। উল্টো দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দল। যতই এশীয় শক্তি হিসেবে উঠে আসতে থাকুক, এই গ্রুপে ওরাই ছিল সব চেয়ে দুর্বল। আগের দিন সুইডেনকে ২-১ হারানোর পরে মনে হয়েছিল, এই ম্যাচটা অন্তত পুরনো জার্মানিকে দেখতে পাব। উল্টে যাঁদের দেখলাম, চিনতে কষ্ট হচ্ছিল তাঁদের গায়ে জার্মান জার্সি! ও-দিকে সুইডেন উড়িয়ে দিল মেক্সিকোকে। এই দু’টো দলই চলে গেল নক-আউটে। ছিটকে গেল বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

লো-র দল এ বার শুরু থেকেই ভাল খেলছিল না। আগের দিন সুইডেনের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়ার্ধটা বাদ দিলে তাদের আধিপত্য দেখাই যায়নি। মনে রাখা দরকার যে, জার্মানি শুধু গত বারের চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই রাশিয়া বিশ্বকাপে আসেনি, গত গ্রীষ্মে কনফেডারেশনস কাপও জিতেছিল। তবু এমন এক প্রতিপক্ষের কাছে হেরে তারা বিদায় নিল, যারা গ্রুপের বাকি দুই দলের কাছে হেরেছে।

আরও পড়ুন: রুশ দেশে কোরিয়ান বিপ্লব, বিধ্বস্ত জার্মানি

গোল করার পরে সনের আনন্দের কান্না।

গত বিশ্বকাপে সেট পিস থেকে পাঁচটা গোল করেছিল জার্মানি। এ বার হুমেলসের মতো ফুটবলার কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে হেড করে গোলে রাখতে পারছেন না। মুলারের মতো বিশ্বত্রাস স্ট্রাইকার প্রতিপক্ষের মনে ভয় ধরাতে পারা দূরে থাক, কোনও প্রভাবই সৃষ্টি করতে পারছেন না! যা পরিস্থিতি ছিল, জার্মানিকে শেষ ম্যাচটা জিততে হত। কিন্তু গোল করার মতো সুযোগই যারা তৈরি করতে পারছে না, তারা জিতবে কী করে!

দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য গর্ব হচ্ছে। নক-আউটে যেতে না পারলেও ইতিহাস তৈরি করে তারা ফিরছে দেশে। এর পর কোরিয়ার ফুটবল আরও উন্নতির দিকে এগোলে অবাক হওয়ার নেই। ওদের দু’টো গোলই সংযুক্ত সময়ে ভিডিয়ো অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি বা ‘ভার’-এর সাহায্য পেয়ে। আশ্চর্যের হচ্ছে, গোল খাওয়ার পরেও ঝাঁঝ দেখা গেল না মুলারদের খেলায়।

হতাশ জার্মানির তারকারা।

আরও একটা প্রতিশোধের কাহিনি লেখা হল বুধবার। খুস হিডিঙ্কের কোচিংয়ে দক্ষিণ কোরিয়া বদলেছিল ১৬ বছর আগের বিশ্বকাপে। এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে শেষ চারে উঠে হইচই ফেলে দিয়েছিল তারা। সে বার সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে হেরেই বিদায় নিয়েছিল কোরিয়া। ২০০২ সালের সেই হারের বদলা রাশিয়ায় এসে নিয়ে নিল শিন তায়ে ইয়ংয়ের কোরিয়া। খেলার শেষে কোরিয়ার ফুটবলারদের চোখে জল। আনন্দাশ্রু!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE