নজরে: সুইডেনের কাঁটা দক্ষিণ কোরিয়ার সন হিউং মিন। ফাইল চিত্র
জ্লাটন ইব্রাহিমোভিচ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন রাউন্ডে খেলেননি। অবসর ভেঙেও ফিরে আসেননি। তবু সুইডেন যেন আজও ইব্রাহিমোভিচের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। সোমবার বিশ্বকাপে তাদের প্রথম ম্যাচ। প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়া। যাঁদের প্রধান অস্ত্র টটেনহ্যামের সন হিউং মিন। শুধু প্রধান না, সম্ভবত একমাত্র ভরসাও।
এ বারের সুইডেন দলের কোচ ইয়ানে আন্দারসঁ। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল এখনও দলটা কি ইব্রার ছায়া থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে? জবাব, ‘‘সত্যিই ও অবিশ্বাস্য প্রতিভা। দেড় বছর আগে সুইডেনের হয়ে খেলা ছেড়ে দিয়েছে। অথচ এখনও আমরা ওর কথা বলছি।’’ প্রসঙ্গত ২০০৬ সালের পরে এই প্রথম সুইডেন বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করেছে। তাও ইতালিকে প্লে-অফ-এ হারিয়ে অঘটন ঘটিয়ে। সুইডিশ কোচ মনে করেন, এই সাফল্য মোটেই ইব্রার ছায়া থেকে বেরিয়ে আসা নয়! দেশের হয়ে ১১৬ ম্যাচ খেলে ৬২ গোল করা সুইডিশ মহাতারকা বরং তাঁর দলের ফুটবলারদের কাছে অনুপ্রেরণা।
এমনিতে সুইডেন যতই ইতালির মতো দেশকে হারিয়ে মূলপর্বে খেলার টিকিট পাক, শেষ তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচে কিন্তু গোল করতে পারেনি। এবং তাদের সব চেয়ে বড় সমস্যা গোল করার লোকের অভাব। তাই এখানেই ঘুরে ফিরে আসছে ইব্রার নাম। অবশ্য প্রস্তুতি ম্যাচে খারাপ ফর্মে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়াও। অথচ এই নিয়ে টানা ন’বার তারা মূলপর্বে খেলছে। ফুটবল পণ্ডিতদের বক্তব্য, সন-এর উপর অতিরিক্ত নির্ভরতাই তাদের সমস্যায় ফেলছে। আর দক্ষিণ কোরিয়ার মহাতারকা ফুটবলার নিজে বলছেন, ‘‘দেশকে সাফল্য দিতে আমাকে ভাল খেলতে হবে। সবাই আমার উপর ভরসা করে যে।’’
এ দিকে, রবিবার আন্দারসঁ স্বীকার করলেন, অস্ট্রিয়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রস্তুতির সময় তাঁরা একজন গুপ্তচর পাঠিয়েছিলেন একই রকম দেখতে কোরীয় ফুটবলারদের চিনে রাখতে। কোরীয়রা অবশ্য সেটা ধরে ফেলেছিল। তাই তাঁরা জার্সি পাল্টে ফুটবলারদের খেলান। সেই গুপ্তচরকে বের করেও দেওয়া হয়। আন্দারসঁ অবশ্য ক্ষমা চেয়ে নেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy