উৎসব: দুরন্ত ভাবে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল সেনেগাল। রবার্ট লেয়নডস্কিদের পোলান্ডকে হারাল তারা। দ্বিতীয় গোলের পরে সেনেগালের ফুটবলারদের নাচ। মঙ্গলবার। ছবি: গেটি ইমেজেস
সেনেগাল ২ : পোলান্ড ১
হতে পারে দু’টি গোলই পড়ে পাওয়া। প্রথমটি জটলা থেকে ধেয়ে আসা একটা প্রচণ্ড জোরে মারা শট হঠাৎ করে থিয়াগো চিওনেকের পায়ে লেগে গতি পাল্টে জড়িয়ে গেল জালে। সেটা প্রথমার্ধের ৩৮ মিনিটের গল্প।
আর ঠিক খেলার ৬০ মিনিটে একটা ব্যাকপাস ধরে এম বায়ে নিয়াং আবিষ্কার করলেন গোলকিপার প্রায় মাঝমাঠে উঠে আসছেন। এবং সঙ্গে সঙ্গে সে বল গোলকিপারের পাশ দিয়ে লব করে, বিদ্যুৎ গতিতে ছুটে সেটা আবার ধরে গোলে ঠেলে দেওয়া। এবং সেই অবিশ্বাস্য সেলিব্রেশন! জনা চারেক ফুটবলার পাশাপাশি দাঁড়িয়ে কোমরে হাত দিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে অদ্ভুত ভাবে নাচতে ব্যস্ত। যেন আফ্রিকার কোনও উপজাতি মস্কোর স্পার্তাক স্টেডিয়ামে হাজির! হাজির সেই পুরনো স্মৃতিও। ২০০২ বিশ্বকাপ। ফ্রান্সকে হারিয়ে এই সেনেগালই চমকে দিয়েছিল সে বারও। এবং প্রথম ম্যাচেই।
শুধু তো ফ্রান্সকে হারানোর সেই স্মৃতি মনে পড়ানো নয়। এ বারের বিশ্বকাপে আফ্রিকার দেশ হিসেবে তারাই জয়ের স্বাদ পেল প্রথম। নীলনদের দেশ মিশর পারেনি। হতে পারে গাম্বিয়া নদীর চরে হয়তো হাজার হাজার সেনেগালের মানুষের পায়ে পায়ে ঘুরবে স্পার্তাকের সেই অপূর্ব নাচের ছন্দই। সাদামাটা ভাবে বলাই যায়, রবার্ট লেওনডস্কির বিরুদ্ধে জিতলেন সাদিয়ো মানে। কিন্তু আসলে জিতল
আফ্রিকার জোশ!
প্রথমার্ধের পাঁচ মিনিট বাদ দিলে যে ভাবে তাঁরা আক্রমণের ঝড় তুললেন, তা দেখে বিস্মিত ফুটবল পন্ডিতেরাই। খেলার ফল ২-১ না হয়ে ৫-১ হতেই পারত। পোলান্ডের জন্য সান্ত্বনা পুরস্কারটি এল খেলার ৮৯ মিনিটে। গ্রিজেকজ ক্রিকোইয়াক ১-২ করলেন। কে বলবে এই পোলান্ড দু’বার বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলেছে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy