—ফাইল চিত্র।
ফুটবলে ট্রফির খরা। তবে স্থানীয় ক্রিকেট মরশুমে ট্রফি এল মোহনবাগান তাঁবুতে। বুধবার সিনিয়র নক আউট টুর্নামেন্ট ফাইনালে আইপিএল ফেরত দুই তারকার দাপটে মোহনবাগান অনায়াসে তপন মেমোরিয়ালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নের শিরোপা জিতে নিল।
দিনটা মোহনবাগান সমর্থকদের কাছে স্মরণীয়। কারণ, এই দিনেই মোহনবাগান ২০১৫-য় আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। বুধবার ইডেনে সেই স্মরণীয় দিনেই বল হাতে ঝড় বইয়ে দিলেন অশোক ডিন্ডা। পাঁচটি উইকেট নেন তিনি। ডিন্ডার বলে ঋদ্ধিমান সাহার গ্লাভসে কট বিহাইন্ড হওয়ার ঘটনা এ দিন তপনের ইনিংসে হয়েছে তিন বার। এ ছাড়াও দু’বার স্টাম্পের পিছনে ঋদ্ধির গ্লাভসে ধরা পড়ে আউট হন দুই ব্যাটসম্যান।
সামনে ডিন্ডা ও পিছনে ঋদ্ধি— প্রমোদ চান্ডিলার দলের ব্যাটসম্যানদের কাছে ত্রাস হয়ে উঠেছিলেন মোহনবাগানের এই দুই তারকা। ইডেনের গতি ও বাউন্সে ভরা উইকেটে ডিন্ডা এ দিন ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন। আর স্টাম্পের পিছনে তেমনই ক্ষিপ্র ছিলেন ঋদ্ধিমান। তপন মেমোরিয়াল প্রথমে ব্যাট করে ১৩৬ রানে অল আউট হয়ে যাওয়ার পর ২১ ওভারেই সেই রান তুলে নেয় মোহনবাগান। ব্যাট হাতে ওপেন করতে নেমেও এ দিন মেজাজে ছিলেন ভারতীয় টেস্ট দলের কিপার-ব্যাটসম্যান। তিনি চারটে বাউন্ডারি ও দুটো ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৩২ বলে ৪৪ রান তোলেন।
আরও পড়ুন: ফরাসি ওপেনের ডাবলস থেকে বিদায় সানিয়ার, এগোলেন বোপান্নারা
দলকে জিতিয়ে খুশি দুই তারকাই। আইপিএলে তিন ম্যাচে এক উইকেট নেওয়ায় পুণে সুপারজায়ান্টের প্রথম এগারোয় আর রাখা হয়নি তাঁকে। সেই ডিন্ডা বহু দিন পর উইকেটে ফেরার পর এ দিন বলেন, ‘‘ভাল বোলিং করলে কার না ভাল লাগে? উইকেটে পেয়ে ভাল লাগছে। আরও ভাল লাগছে দল জেতায়। আমাকে দল যে কাজটা দিয়েছিল, সেটা করতে পেরেছি, এটাই বড় ব্যাপার।’’ ঋদ্ধিমান বলেন, ‘‘দলকে ট্রফি জেতানোটা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। বিশেষ করে ‘ডার্বি’-তে হারের পর। ডিন্ডার অসাধারণ বোলিংই আমাদের কাজটা সোজা করে দিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy