যুবরাজ সিংহর ব্যাটে রান-ফোয়ারা ফিরে এল। বরোদার বিরুদ্ধে ২৬০ রান করলেন যুবরাজ। এই একটা নয়, পঞ্জাবের ইনিংসে আরও একটা ডাবল সেঞ্চুরি। মনন ভোহরার ২২৪। পঞ্জাবও রানের পাহাড় গড়ল ৬৭০ তুলে। এর আগে বরোদাও ৫২৯ রান তুলেছিল। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে যাওয়ায় তিন পয়েন্ট পেল পঞ্জাব।
মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে ১৭৭-এর পর এই ম্যাচে ২৬০ যুবরাজের। ৭৭ রানের একটা ইনিংসও খেলেছিলেন তিনি মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে। চলতি রঞ্জি ট্রফিতে এখন তিনিই সবচেয়ে বেশি রানের মালিক। এ পর্যন্ত সাত ইনিংসে ৮৩.৮৫ গড়ে ৫৮৭ রান। যুবরাজের পরেই রয়েছেন বরোদার দীপক হুডা। যিনি চার ইনিংসে ৫৫৭ করেছেন। কোটলার এই ম্যাচেই প্রথম ইনিংসে হুডা ২৯৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। গুজরাতের বিরুদ্ধে ১১৮ করেছিলেন। দিল্লির ঋষভ পন্থ ৫৪৭ করে তিন নম্বরে রয়েছেন। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেন ঋষভ।
রবিবার অন্য ম্যাচে গুজরাতের হার্দিক পটেল সাত উইকেট নিয়ে দলকে জেতালেন উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে। ৩০৮ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে উত্তরপ্রদেশ ১৪৪-৪ থেকে ১৭৫ অল আউট হয়ে যায়। ১৯ ওভারে ধস নামে উত্তরপ্রদেশের ব্যাটিংয়ে। হার্দিক ৭-৭২। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১১ উইকেট তাঁর।
মধ্যপ্রদেশ অবশ্য এ দিন ফলো-অন করেও ইনিংস হার বাঁচিয়ে নিল তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে। ফলো অন করে মধ্যপ্রদেশ দ্বিতীয় ইনিংসেও ৪৪-৪ হয়ে গিয়েছিল। হরপ্রীত সিংহ (৫২) ও শুভম শর্মার ১০৯ রানের পার্টনারশিপ তাদের ক্রমশ ইনিংস হার থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে আসে। শুভম দিনের শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থেকে ৭৭ অপরাজিত থাকেন। মধ্যপ্রদেশ ২২২-৫-এ শেষ করে।
কর্নাটক ইডেনে দিল্লিকে ইনিংসে হারিয়ে যাওয়ার পর এ বার অসমের বিরুদ্ধেও বোনাস পয়েন্ট আদায় করল দশ উইকেটে জিতে। অসমকে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬৪ অল আউট করে দেওয়ার পর কর্নাটকের বোনাস পয়েন্ট নিয়ে জেতার জন্য বিনা উইকেটে মাত্র কুড়ি রান দরকার ছিল। যা তারা তিন ওভারেই তুলে নেয়। কর্নাটকের অফস্পিনার কৃষ্ণাপ্পা গৌতম সাত উইকেট নেন।
‘এ’ গ্রুপের লিগ টেবলে এখন বাংলা ও গুজরাতের ১৫ পয়েন্ট। নেট রান রেটে বাংলা আপাতত দু’নম্বরে। দু’দলই তিনটে করে ম্যাচ খেলেছে। বারো পয়েন্ট পেয়ে মুম্বই তিন নম্বরে। তামিলনাড়ু ও পঞ্জাব চার ও পাঁচে। ‘বি’ গ্রুপে তিন ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট পেয়ে কর্নাটক শীর্ষে। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে ঝাড়খণ্ড দুই নম্বরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy