ছুটি: সিরিজ জিতে ওয়েলিংটন ভ্রমণে চহাল এবং রোহিত। ছবি: টুইটার।
সোশ্যাল মিডিয়ায় যখন ‘১০ বছরের চ্যালেঞ্জ’ নিয়ে ঝড় উঠেছে, তখন রোহিত শর্মাও নিঃশব্দে একটা ‘১০ বছরের চ্যালেঞ্জ’ সাফল্যের সঙ্গে উতরে গেলেন। সেই ২০০৯ সালে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ভারতীয় দলের সঙ্গে এসে নিউজ়িল্যান্ড থেকে ওয়ান ডে সিরিজ জিতেছিলেন রোহিত। ১০ বছর বাদে, ২০১৯ সালে নিউজ়িল্যান্ডে আবার ওয়ান ডে ট্রফি যখন হাতে উঠছে, তখন অধিনায়ক রোহিত। যদিও সিরিজ জয় আগেই সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে বিরাট কোহালির নেতৃত্বে।
বিসিসিআই টিভি-তে ক্রমশ জনপ্রিয় হতে থাকা চহাল টিভি-তে রোহিতকে সামনে পেয়ে যে প্রসঙ্গ তোলেন যুজবেন্দ্র চহাল। জানতে চান, ‘‘আপনি ২০০৯ সালে নিউজ়িল্যান্ডের মাটিতে ওয়ান ডে সিরিজ জিতেছিলেন। আবার ২০১৯ সালে জিতলেন। একে এখন ১০ বছরের চ্যালেঞ্জ বলা হচ্ছে। সে বার আর এ বারের সিরিজ জয়ের মধ্যে কী পার্থক্য? রোহিতের জবাব, ‘‘২০০৯ সালে একটা দল ছিল, এ বার অন্য একটা দল। কিন্তু একটা কথা বলতেই হবে। নিউজ়িল্যান্ডে এসে নিউজ়িল্যান্ডকে হারানোটা কিন্তু মোটেই সোজা কাজ নয়। ২০০৯-এ সিরিজ জেতাটা সহজ কাজ ছিল না। ওদের দলটা খুব ভাল ছিল। বিশেষ করে ঘরের মাঠে তো অপ্রতিরোধ্য ছিল।’’ ওই সফরে প্রথমে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হেরে গেলেও ওয়ান ডে সিরিজ ভারত ৩-১ জেতে, একটি ম্যাচ ভেস্তে যায়।
দশ বছর বাদে সিরিজ জয়ের প্রসঙ্গে রোহিত বলছেন, ‘‘গত দু’বছর ধরে নিউজ়িল্যান্ড যে ক্রিকেটটা খেলছিল, তাতে ঘরের মাঠে এসে ওদের হারানোটা মোটেই সোজা কাজ ছিল না। কিন্তু ছেলেরা দারুণ খেলল।’’ সিরিজের শেষ ম্যাচে একটা সময় যে হারের আতঙ্ক গ্রাস করেছিল তাঁকে, তা স্বীকার করেছেন রোহিত। বলেছেন, ‘‘ওয়েলিংটন ম্যাচে যখন একটা সময় আমাদের স্কোর চার উইকেটে ১৮ হয়ে গিয়েছিল, ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আগের ম্যাচের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। ভাবছিলাম, আবার না খুব কম রানে শেষ হয়ে যাই। কিন্তু অনবদ্য ইনিংস খেলল অম্বাতি রায়ডু আর বিজয় শঙ্কর।’’
রোহিত মনে করেন, রায়ডুর ওই ইনিংস শুধু তাঁরই আত্মবিশ্বাস বাড়াবে না, দলেরও মনোবল বাড়াবে। অধিনায়কের মন্তব্য, ‘‘আমাদের দেখার দরকার ছিল, এই রকম পরিস্থিতিতে ব্যাটসম্যানরা কী ভাবে চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে। দেখে ভাল লাগছে যে, কঠিন পরিস্থিতিতে নিজেদের সেরাটা দিতে পেরেছে ওরা। প্রথমে রায়ডু, বিজয়। পরে কেদার এবং হার্দিক। শেষ দিকে কেদার, হার্দিক ও রকম না খেললে আমরা আড়াইশোর ওপর স্কোর করতে পারতাম না।’’
এর পরে চহাল বলে বসেন, ‘‘আপনাদের দলে তো আরও এক জন ভাল ব্যাটসম্যান এসে গিয়েছে। যে শেষ দিকে ভাল রান করছে!’’ সঙ্গে সঙ্গে রোহিতের জবাব, ‘‘আমরা দশ নম্বর থেকে ব্যাটসম্যানের কথা বেশি ভাবি না। এই যেমন তোমার কথা।’’ তার পরেই অবশ্য অধিনায়ক যোগ করেন, ‘‘তবে বলতেই হবে হ্যামিল্টনে তুমি আমাদের দলের সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলে। কিন্তু আমি চাই, তুমি এমন একটা ম্যাচে সর্বোচ্চ স্কোরার হও, যেখানে আমরা জিতি।’’ এর পরেই চহালের আবদার, ‘‘তা হলে তো আমাকে উপরের দিকে ব্যাট করতে হয়। বিরাট (কোহালি) ভাই তো এখন খেলছে না, টি-টোয়েন্টতি তো যদি আমি...’’ প্রায় মুখের কথা কেড়ে নিয়ে রোহিতের মন্তব্য, ‘‘তিন নম্বরে ব্যাট করতে চাও? ঠিক আছে, আমি রবি (শাস্ত্রী) ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলব। তোমাকে তিনে নামাতেও পারে। তবে মনে রেখো, লকি ফার্গুসন কিন্তু বল করতে আসবে!’’ এই মুহূর্তে নিউজ়িল্যান্ডের অন্যতম দ্রুতগতির বোলার হলেন ফার্গুসন। নিয়মিত ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটারের উপর গতিতে বল করেন এই পেসার।
চহাল টিভিতে সোমবার দেখা গিয়েছে কয়েক জন বিশেষ অতিথিকেও। তাঁরা হলেন কোহালিদের দলের সমর্থক ‘ভারত আর্মি’র সদস্য। যাঁরা চহাল টিভি-র জন্য বিশেষ একটি গানও গাইলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy