জাহির খান।
ইংল্যান্ড সফরের প্রথম দু’টি সীমিত ওভারের সিরিজে তাঁর পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ থেকে প্রাক্তনদের। এ বার টেস্টেও চায়নাম্যান বোলারকে নিয়ে আশাবাদী প্রাক্তন ভারতীয় পেসার জাহির খান। চলতি ইংল্যান্ড সফরে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ান ডে সিরিজ মিলিয়ে পাঁচ ম্যাচে ১৪ উইকেট সংগ্রহকারী কুলদীপ যাদবই হয়ে উঠতে পারে ভারতের নায়ক, মনে করেন জাহির।
অন্য বারের তুলনায় এ বার ইংল্যান্ডের গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা বেড়েছে। প্রায় পঁয়ত্রিশ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে ভারত। যা পরিস্থিতি, তাতে পিচের চরিত্র বদলে যেতে পারে। বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকায় শুষ্ক হয়ে উঠছে ইংল্যান্ডের পিচ। তাই টেস্ট দলের প্রথম একাদশে দু’জন স্পিনার খেললে খুব একটা অবাক হবেন না প্রাক্তন ভারতীয় বাঁ-হাতি পেসার। জাহির বলেছেন, ‘‘ইংল্যান্ডে এই ধরনের গরম থাকলে পেসারদের সাহায্য পেতে সমস্যা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে দু’জন বিশেষজ্ঞ স্পিনার খেলাতেই পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। গরম না কমলে সেটাই হয়তো সাফল্যের কারণ হয়ে উঠতে পারে।’’
জো রুটদের বিরুদ্ধে সীমিত ওভারে ভারতীয় চায়নাম্যান বোলারের পারফরম্যান্সে খুশি দেশের ক্রিকেটমহল। কিন্তু কুলদীপের প্রতি বাড়তি প্রত্যাশা হয়তো চাপ সৃষ্টি করতে পারে এই তরুণ স্পিনারের উপর। জাহির অবশ্য এ বিষয়ে একমত নন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভাল খেলেছে বলেই কুলদীপের উপর ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রত্যাশা বেড়েছে। ভাল খেলতে পারলে প্রশংসা আর প্রত্যাশা তো থাকবেই। সেটা চাপ হিসেবে দেখলে চলবে না।’’
২০০৭ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়ের অন্যতম নায়ক মনে করেন, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যে ভাবমূর্তি নিয়ে ভারত খেলেছে, ইংল্যান্ড সফরেও সেটাই ধরে রাখতে হবে। জাহিরের কথায়, ‘‘ভারতীয় সমর্থকেরা আশা করছেন, এ বার ইংল্যান্ডের টেস্ট মরসুমে দাপটের সঙ্গে খেলবে বিরাট কোহালিরা। আমিও সেটাই চাই। কিন্তু চিন্তা একটাই। এটা পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। ধারাবাহিকতার অভাব থাকলে এ ধরনের সিরিজ জেতা বেশ কঠিন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যে লড়াকু মনোভাব নিয়ে ভারত খেলেছে। সেটাই আমার প্রত্যাশা বাড়িয়ে তুলেছে।’’
ইংল্যান্ড সফর শেষ হওয়ার এক বছরের মধ্যেই সে দেশে বিশ্বকাপ খেলতে যাবে বিরাট বাহিনী। বিশ্বকাপে জাহিরের বাজি কিন্তু যশপ্রীত বুমরা। আঙুলে চোট থাকায় ইংল্যান্ড সফরে খেলা হচ্ছে না বুমরার। কিন্তু বিশ্বকাপের আগে সুস্থ হয়ে ওঠার অনেকটাই সময় পাবেন তিনি। জাহিরের বক্তব্য, ‘‘আগামী বছর বিশ্বকাপ খেলতে নামার আগে কম করেও ২৫টি ওয়ান ডে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে ভারত। সে ম্যাচ গুলোয় দলের মিডল অর্ডারকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে হবে। পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে যশপ্রীত বুমরা যেন আর চোট না পায়। বিশ্বকাপে ও-ই কিন্তু হয়ে উঠতে পারে ভারতের
সাফল্যের চাবিকাঠি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy