Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

জিতলেও প্রশ্ন থাকছে ইস্টবেঙ্গলকে নিয়ে

চব্বিশ ঘণ্টা পার না হতেই পাল্টে গেল তাঁর মন্তব্য। আর পেন ওরজিদের কোচ থাংবই সিংটোর সেই জোশ ভরা কথা হতাশায় বদলে দিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ আর্মান্দো কোলাসোর সেই নাইজিরিয়ান জোড়া ফলা র‌্যা-ডু র‌্যান্টি মার্টিন্স এবং ডুডু ওমাগবেমি। কী সেই মন্তব্য? শনিবার ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে সাংবাদিক সম্মেলনে লাজং কোচকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ডুডু-র‌্যান্টির বিরুদ্ধে তাঁর ভারতীয় রক্ষণ কতটা চাপে? জবাবে সিংটো বলেছিলেন, “ওটা চাপ বলছেন কেন? বলুন চ্যালেঞ্জ। আমরা তার জন্য তৈরি।”

জয়ের উল্লাস। ম্যাচ শেষে বন্ধু ডুডুর সঙ্গে র্যান্টি। ছবি: উত্‌পল সরকার

জয়ের উল্লাস। ম্যাচ শেষে বন্ধু ডুডুর সঙ্গে র্যান্টি। ছবি: উত্‌পল সরকার

দেবাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০২:০৯
Share: Save:

ইস্টবেঙ্গল-২ ​(র‌্যান্টি-২)
লাজং এফসি-১ (গ্লেন)

চব্বিশ ঘণ্টা পার না হতেই পাল্টে গেল তাঁর মন্তব্য। আর পেন ওরজিদের কোচ থাংবই সিংটোর সেই জোশ ভরা কথা হতাশায় বদলে দিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ আর্মান্দো কোলাসোর সেই নাইজিরিয়ান জোড়া ফলা র‌্যা-ডু র‌্যান্টি মার্টিন্স এবং ডুডু ওমাগবেমি।

কী সেই মন্তব্য? শনিবার ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে সাংবাদিক সম্মেলনে লাজং কোচকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ডুডু-র‌্যান্টির বিরুদ্ধে তাঁর ভারতীয় রক্ষণ কতটা চাপে? জবাবে সিংটো বলেছিলেন, “ওটা চাপ বলছেন কেন? বলুন চ্যালেঞ্জ। আমরা তার জন্য তৈরি।”

রবিবার যুবভারতীতে নব্বই মিনিট লাল-হলুদের সেই র‌্যা-ডু জুটিকে সামলানোর পর সিংটোর গলায় সম্পূর্ণ অন্য সুর। “ডুডু-র‌্যান্টির বিরুদ্ধে ম্যাচ বের করা সত্যিই কঠিন। ওদের অভিজ্ঞতাই ফারাক করে দিল আজ।” পাহাড়ের ছেলেদের হারিয়ে তিন ম্যাচে সাত পয়েন্ট পকেটে পুরে রাজারহাটের ফ্ল্যাটে ফেরার সময় লাল-হলুদ অধিনায়ক হরমনজ্যোত্‌ সিংহ খাবরাও বলে গেলেন, “দেখলেন তো র‌্যান্টি-ডুডু আক্রমণে থাকলেই বিপক্ষের চাপ কতটা বাড়ে!”

সিংটো, খাবরাদের কথা শুনলে মনে হবে যুবভারতীতে পেন-গ্লেনদের ফুচকার মতো ফাটিয়ে লাজং বধ করেছে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু খাবরাদের নব্বই মিনিটের মূল্যায়ন কিন্তু তা বলছে না। রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় এ দিনও সাংবাদিক সম্মেলনে আসেননি অর্ণবদের কোচ আর্মান্দো কোলাসো। ম্যাচ শেষে হনহন করে বেরিয়ে গেলেন। কথা না বলেই। মুখ বন্ধ করে মাঠ ছাড়লেন গোয়ান কোচের গোল-মিসাইল র‌্যা-ডুও।

দশ দিন পরেই ডার্বি। বাঙালির আত্মসম্মানের ম্যাচ। সেই ম্যাচের আগে আতস কাচের তলায় খাবরার টিম নিয়ে কিছু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছেই। ৪-৪-২ ছকে লাল-হলুদের দুই সেন্ট্রাল মিডিও-র মধ্যে অধিনায়কের পরিশ্রম নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। কিন্তু ওই জায়গায় সুখবিন্দর ও খাবরা দু’জনেই ধ্বংসাত্মক ফুটবল খেলায় এ দিন দুর্গা বোড়োরা সুসাকদের রক্ষণে দাঁত ফোটাতে পারেনি। কিন্তু এক্ষেত্রে উইং ধরে আক্রমণে বিপক্ষকে ঝাঁঝরা করে দেওয়ার জন্য যে গতি, ড্রিবল, ঠিকানা লেখা পাস দরকার তা মার্কি ফুটবলার লিও বার্তোস দেখাতে পারছেন কোথায়?

প্রথমার্ধে বার্তোসের বাড়ানো বল থেকে হেডে র‌্যান্টি যে গোলটা করলেন সে সময় কিন্তু লাজং কিপার রেহনেস জায়গায় ছিলেন না। স্টপার রাজু গায়কোয়াড়ের থ্রো থেকে র‌্যান্টির দ্বিতীয় গোলের সময়ও আইবররা তাঁকে মার্কিংয়ে রাখেননি। আর দেখে-শুনে নিশ্চিন্তে বল রিসিভ করে ব্যাক ভলিতে কর্নেল গ্লেনের গোল শোধের সময় রাজু যেন দর্শক। র‌্যান্টি-ডুডু জুজু দেখিয়ে সব ম্যাচ কিন্তু বের করা যাবে না।

ইস্টবেঙ্গলকে জরিপ করতে এ দিন হাজির ছিলেন ময়দানের দুই চেনা মুখ। ভাইচুংয়ের পাশে বসে ম্যাচ দেখে তাঁর সহজাত হাইভোল্টেজ হাসি ঝুলিয়ে বেরিয়ে গেলেন মোহনবাগানের সহকারী কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী। আর আর্মান্দোর প্রাক্তন সহকারী রঞ্জন চৌধুরী বলে গেলেন, “ডার্বির আগে টিমের বোঝাপড়াটা একটু বাড়িয়ে নিলে ভাল করবেন আর্মান্দো।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

ileague eastbengal win debanjan bandopadhyay
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE