এখনও নাকি একটা ঘোরের মধ্যে আছেন! বলছেন, দুবাইয়ের অবহেলাই তাঁকে বাড়তি তাতিয়ে দিয়েছিল। বলছেন, জয়টা সব মন খারাপ মুছে এ বার ইন্ডিয়ান ওপেন জেতারও প্রেরণা জোগাচ্ছে।
নিজের প্রথম ইউরোপিয়ান ট্যুর খেতাব জেতার চব্বিশ ঘণ্টা পর মোবাইলে ধরা হলে এমনটাই অকপটে জানালেন অনির্বাণ লাহিড়ী।
মেব্যাঙ্ক মালয়েশিয়া ওপেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় এ দিন প্রকাশিত গল্ফের টাটকা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে তারকা বঙ্গসন্তান গল্ফার তিয়াত্তর থেকে এক লাফে চলে এসেছেন ৩৭ নম্বরে। সঙ্গে গল্ফের অন্যতম অভিজাত টুর্নামেন্ট, আগাস্টা মাস্টার্সে নামার যোগ্যতাও পেয়ে গিয়েছেন।
সাফল্যের মধ্যেই অবশ্য পুরনো একটা কষ্ট রয়েছে অনির্বাণের ভেতর। দুবাই ওপেন খেলার সুযোগ না পাওয়ায়। বললেন, “জানেন, আমার বিশ্ব র্যাঙ্কিং সত্তরের মধ্যে থাকা সত্ত্বেও আমাকে সুযোগ না দিয়ে ওরা অন্যায় ভাবে অন্যকে সুযোগ দিয়েছিল। তখন থেকেই আমার মনে একটা জেদ চেপে গিয়েছিল। তাই মালয়েশিয়ায় প্রথম সুযোগেই সেই জেদটাকে উগরে দিয়ে নিজের ভেতরের ক্ষোভটা সুদে-আসলে পুষিয়ে নিয়েছি।”
এশীয় ট্যুরের টুর্নামেন্ট, তাইল্যান্ড ক্ল্যাসিক খেলতে আজই তাইল্যান্ড উড়ে গেলেন অনির্বাণ।
এ দিকে, সোমবারই নয়ডায় এক গল্ফ টুর্নামেন্টে অনির্বাণের প্র্যাকটিস পার্টনার চিক্কারাঙ্গাপ্পা আবার বলছিলেন “ফাইনালের আগের দিনও আমি অনির্বাণকে দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম! ওর অদম্য জেদই ওকে পাঁচ স্ট্রোকে পিছিয়ে থেকেও খেতাব জিততে সাহায্য করেছে! অনির্বাণ এখন আমাদের রোল মডেল হয়ে গেল। ওর এই জয়টা দেশের তরুণ গল্ফারদের এগিয়ে যেতে ভীষণ ভাবে সাহায্য করবে। এমনকী ওর এই সাফল্য পরের বছর রিও অলিম্পিকে গল্ফে পদক জিততেও ভারতীয় প্রতিযোগীদের উদ্বুদ্ধ করবে।”
স্বয়ং অনির্বাণ আগের দিনের সাড়া ফেলা জয় প্রসঙ্গে বললেন, “এটা আমাকে এ মাসেই ইন্ডিয়ান ওপেন জেতার প্রেরণা আর আত্মবিশ্বাস জোগাবে।” সঙ্গে আরও যোগ করলেন, “একটা সময় খেতাবের আশেপাশে ছিলাম না। তবে তৃতীয় রাউন্ডে ১০ আন্ডার ৬২ স্কোর করার পর কিছুটা আশা করেছিলাম। আর শেষ রাউন্ডে ছন্দটা ধরে রেখে খেতাবই জিতে গেলাম! সত্যি বলতে কী সে জন্য এখনও যেন আমার ঘোর কাটেনি! দুবাই আর দোহায় অন্য গল্ফারদের পারফরম্যান্স দেখতে দেখতে মনটা কেমন যেন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। এখন ব্যাপারটা সম্পূর্ণ উল্টে গিয়েছে। দারুণ উদ্দীপ্ত লাগছে!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy