নেটে বাঙ্গারের সঙ্গে ধবন
অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ ও ত্রিদেশীয় সিরিজে ভরাডুবির পর বিশ্বকাপে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের এই ফর্ম দেখার পর অনেকেরই প্রশ্ন, এত কম সময়ে এই ভোলবদল ঘটল কী করে? বিসিসিআই ওয়েবসাইটে ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার তার ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করলেন।
ত্রিদেশীয় থেকে বিশ্বকাপ
বাইরে যে যাই বলুক, দলের মধ্যে এই আত্মবিশ্বাস ছিল যে আমরাও অন্য ভাল দলগুলোর মতোই। টানা টেস্ট সিরিজ ও ত্রিদেশীয় সিরিজের যে ক্লান্তিটা ছিল, তা উধাও হয়ে গেল বিশ্বকাপের আগে পাওয়া ছুটিতে। প্রস্তুতিটা এমনিতেই ভাল ছিল। কয়েকটা ভুল শুধরে নেওয়া হল। তার পরই বিশ্বকাপে নেমে পড়া।
ভুল সংশোধন
কোথায় কী ভুল হচ্ছে, তা বহু পর্যবেক্ষণ করে তা ভাল করে বুঝে শোধরানোর উপায় বার করতে হয়। তা ব্যাটসম্যানকে বোঝানোও একটা বড় কাজ। বিশ্বকাপের আগে সেটাই করতে হয়েছে। নেটে হাজার হাজার থ্রো ডাউন দিয়ে ও ম্যাচ সিচুয়েশন তৈরি করে দুর্বলতাগুলোকে বারবার তার সামনে এনে এই কাজটা করা হয়েছে। দলের প্রধান ব্যাটসম্যানরা এই শোধরানোর কাজটা দারুণ ভাবে করেছেও। যেমন...
বিরাট কোহলি
যে বলগুলো বিরাটের অফ-মিডলে পড়ে বাইরে চলে যাচ্ছিল সেগুলোর লাইনে আসা নিয়ে ওর সমস্যা হচ্ছিল। ব্যাপারটা আলোচনা করে নেটে ওকে সমানে এই ধরনের বল থ্রো-ডাউন দিয়ে শোধরানো হয়। রবি শাস্ত্রী কোহলিকে ক্রিজ থেকে একটু বেরিয়ে স্টান্স নেওয়ার পরামর্শ দেন। ফাস্ট বোলারদের বিরুদ্ধেও এটা অক্ষরে অক্ষরে মেনেছে ও। ফলে এই দুর্বলতাটা কেটে যায় বিরাটের।
শিখর ধবন
ব্যাট করার সময় ওর সামনের কাঁধটা ওপেন হয়ে যাওয়ার টেকনিক উপকারে এসেছে। আগে ওর বেশিরভাগ শট যেত কভার ও কভার পয়েন্ট অঞ্চলে। তবে এখন শিখর অনেক সোজা খেলে। টেস্ট সিরিজে ও খারাপ ব্যাট করেনি। ঠিকঠাক তিরিশের ঘরে রান তোলার পর আউট হয়ে যাচ্ছিল। পারথে ও নিজেকে শোধরালো। এ বার অনেকটা সোজাসুজি দাঁড়িয়ে স্টান্স নেওয়া শুরু করল। ফলে উইকেটের অতিরিক্ত বাউন্সের মোকাবিলা করতে সুবিধা হচ্ছে।
অজিঙ্ক রাহানে
রাহানের ব্যাটিং বৈচিত্র সবচেয়ে বেশি। টেকনিকেও ও খুব স্ট্রং। বিভিন্ন কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতাও অসাধারণ। বিভিন্ন অর্ডারে সমান দক্ষতায় ব্যাট করতে পারে। প্রতিটা পজিশনে খেলাকে ও চ্যালেঞ্জ হিসেবে ধরে, এটা আরও বড় সুবিধা। ওর মোবিলিটি নিয়ে শুধু আমাদের কাজ করতে হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy