গত বছর ব্যর্থ হয়েছিলেন। তাতেও তাঁকে বাদ দেওয়া হয়নি। চিরাচরিত ধারার উল্টো পথে হেঁটে বরং সেই কোচের হাতেই দলের দায়িত্ব তুলে দিয়েছে আইএফএ। জামশেদপুরে আজ শনিবার পূর্বাঞ্চলের যোগ্যতা অর্জন ম্যাচের আগে তাই সতর্ক শিশির ঘোষ। ফোনে তিনি বলে দিলেন, “আমি টিমের সবাইকে একজোট হয়ে ঝাঁপানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছি। গতবারের ভুল আর করতে চাই না। সবাইকে একসঙ্গে টিম হয়ে উঠতে হবে।”
সন্তোষ ট্রফিতে প্রথম ম্যাচে বাংলার মুখোমুখি বিহার। তিন দলের গ্রুপ। পরের রাউন্ডে যেতে হলে তাই প্রতিটি ম্যাচ জিততে হবে। বাড়িয়ে রাখতে হবে গোল পার্থক্য। সেটা জানেন বলেই বাংলা কোচ বলে দিলেন, “বিহার ভাল দল। টিকে থাকতে হলে জিততে তো হবেই। গোলপার্থক্যও বাড়িয়ে রাখতে হবে। অন্তত তিন গোলে না জিতলে সমস্যা।”
বিহারের বিরুদ্ধে নামার আগের দিন টিএফএ-র মাঠে অনুশীলন করেছে বাংলা দল। সেট পিস থেকে সিচুয়েশন প্র্যাকটিস সব কিছুই করানো হয়। দু’দলে ভাগ করে ম্যাচও খেলানো হয়। খেলা দুপুরে। ঠান্ডাও নেই। ফলে সেই অর্থে কোনও সমস্যা নেই শিশিরের দলের।
ফুলচাঁদ, সুরাবুদ্দিনদের নিয়ে বানানো দলের উপর তাই আস্থা রাখছেন বাংলা কোচ। বলছিলেন, “এ বারের দল নিয়ে আমি আশাবাদী। বাংলা সন্তোষে খেলতে যায় চ্যাম্পিয়ন হতেই। গতবার পারিনি। কিন্তু এ বছর বলতে পারি ব্যালান্সড দল। টুর্নামেন্ট জেতার মতো রসদ আছে।” শেষ মুহূর্তে অবিনাশ রুইদাসকে না পাওয়াতেও যেন চিন্তিত নন শিশির। “প্রথম থেকেই আক্রমণে যেতে হবে। বল দখলে রাখতে হবে। সব টুর্নামেন্টেই প্রথম ম্যাচ কঠিন হয়।” বলছিলেন দেশের এক সময়ের সেরা বাঙালি স্ট্রাইকার। কোচের সঙ্গে একমত ডিফেন্ডার বাবু মণ্ডলও। গত মরসুমে খেলেছিলেন টালিগঞ্জ অগ্রগামীতে। ফোনে বলছিলেন, “আমাদের টিমে এমন অনেক ফুটবলার আছে যারা কলকাতা লিগে ভাল খেলেছে। বিহারকে না হারানোর কোনও কারণ নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy