ইরানকে ইনজুরি টাইমে অনবদ্য গোলে হারানোর পিছনে শুধু লিও মেসিই নন, দিয়েগো মারাদোনারও নাকি অবদান আছে! আর্জেন্তিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট খুলিও গ্রন্দোনার সে রকমই দাবি।
ঘটনাটা কী?
মেয়ে জিয়ানিনাকে নিয়ে শনিবার আর্জেন্তিনার ম্যাচ দেখতে মারাদোনাও বেলো হরাইজন্তে স্টেডিয়ামে ছিলেন। ঘটনাচক্রে মেসির জালে বল জড়ানোর সময়ই মারাদোনা নিজের আসনে ছিলেন না। যা দেখে গ্রন্দোনা বলে দেন, “যেই মুফা গেল, আমরা জিতলাম।” আর্জেন্তিনায় ‘মুফা’ শব্দের অর্থ অপয়া। আগেরোদের দেশজ মিডিয়ায় গ্রন্দোনার প্রতিক্রিয়া ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। গ্রন্দোনার ছেলে হাম্বার্তোও তখন স্টেডিয়ামে ছিলেন। বাবাকে সমর্থন করে তিনি টুইট ভাসিয়ে দেন, “মুফা যখন ম্যাচটা দেখতে এল তখন থেকেই দুশ্চিন্তায় ছিলাম। মুফা যাওয়ার পরই গোলটা এল। আর তোমাকে চাই না। জাতীয় দলের জয় চাইলে ভুলেও আর এ পথ মাড়িও না।”
আর্জেন্তিনার ফুটবলের দুই প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের সংঘর্ষ অবশ্য নতুন নয়। ২০০৮ সালে আর্জেন্তিনীয় কিংবদন্তি জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই গ্রন্দোনার সঙ্গে খিটিমিটি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপারে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। পরে সম্পর্কের আরও অবনতি হয়। মারাদোনা জাতীয় দলের দায়িত্ব ছাড়ার পরও সম্পর্কের বিন্দুমাত্র উন্নতি হয়নি। তাই গ্রন্দোনার ‘কড়া ট্যাকলে’ অনেকেই আশ্চর্য হননি। বরং ‘কাউন্টার অ্যাটাকের’ অপেক্ষাই করছিলেন তাঁরা।
কিছুক্ষণের মধ্যেই পাল্টা আক্রমণও হয়। তবে মারাদোনা নন, প্রথম মুখ খোলেন তাঁর মেয়ে ডালমা। তিনি বলেন, “বাবা মোটেই স্টেডিয়াম ছেড়ে যায়নি। অন্য জায়গায় বসার জন্য সিট ছেড়ে একটু উঠেছিল।” তবে আসল আক্রমণটা আসে তার কিছুক্ষণ পরেই। আর্জেন্তিনীয় কিংবদন্তি ভেনিজুয়েলার টিভিতে তাঁর অনুষ্ঠানে বলেন, “কে নাকি বলেছে, আমি স্টেডিয়াম ছেড়ে যাওয়ার জন্যই গোলটা হয়েছে। তাদের বলব, গোলটার কৃতিত্ব পুরোপুরি মেসির।” এর পরই দুর্নীতি নিয়ে গ্রন্দোনাকে তাঁর বুলেট শট, “গ্রন্দোনা, আমার গায়ে চাপানো পোশাকটাও কিন্তু আমারই পরিশ্রম করে উপার্জন করা অর্থে কেনা। আর ফিফা আমায় যা দিয়েছে সেটা হল এটা..” বলেই নিজের ডান হাতের মধ্যমা তুলে ধরেন তিনি। যার অর্থ বুঝতে কারও কোনও সমস্যা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy