সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে ভারতীয় দলের কোচ ডানকান ফ্লেচারের অপসারণ নিয়ে জলঘোলা বন্ধ করল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। শুক্রবারই বোর্ড সচিব সঞ্জয় পটেল জানিয়ে দিলেন, “ডানকান ফ্লেচারের পাশেই রয়েছে বিসিসিআই।” শুধু তাই নয়, দিন কয়েক আগে ফ্লেচারের পরিবর্তে রাহুল দ্রাবিড়কে টিম ইন্ডিয়ার কোচের পদে বসানোর জন্য যে জোরদার সওয়াল করেছিলেন সুনীল গাওস্কর, এ দিন সাংবাদিকদের সামনে তাও ‘গাওস্করের ব্যক্তিগত মত’ বলে নস্যাৎ করে দিয়েছেন বোর্ড সচিব।
সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপে ব্যর্থতার পর বৃহস্পতিবারই ফ্লেচারের সঙ্গে চেন্নাইতে বৈঠকে বসেছিলেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট এন শ্রীনিবাসন। এর পরেই ভারতীয় ক্রিকেট মহলে জল্পনা শুরু হয়, পরপর দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ডে টেস্ট এবং ওয়ান ডে সিরিজে হারের পর বোর্ড প্রেসিডেন্ট দলের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। সে ক্ষেত্রে ফ্লেচারের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তা নবীকরণ নাও করতে পারে বোর্ড। এমন কি এটাও শোনা গিয়েছিল, ফ্লেচারের সঙ্গে বোলিং কোচ জো ডস এবং ফিল্ডিং কোচ ট্রেভর পেনিকেও সরাতে আলোচনা চলছে বিসিসিআই-এর অন্দরমহলে। বোর্ড সচিবের দাবি, বৈঠকে বিরাট কোহলিদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স নিয়েই দু’জনের আলোচনা হলেও ফ্লেচারের চুক্তির মেয়াদ নিয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি। তাঁর কথায়, “প্রত্যেক সফরের পরই বোর্ড কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফদের সঙ্গে নিয়ম করে বৈঠক করে থাকে। এটা ভারতীয় ক্রিকেটে নতুন নয়। বৈঠকটা মুম্বইতেই হতে পারত। কিন্তু বোর্ড প্রেসিডেন্টের ছানি অপারেশন হয়েছে। ওঁনার যাতায়াতের সমস্যা থাকায় বৈঠক চেন্নাইতে হয়েছে। ওখানে আমিও ছিলাম। এ ব্যাপারে জল্পনার কিছুই নেই।” সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “এই মুহূর্তে কোচ বা সাপোর্ট স্টাফদের সরানোর কোনও চিন্তাভাবনাই নেই বোর্ডের অন্দরমহলে। বিশ্বকাপ এখনও এক বছর বাকি। তার প্রস্তুতির জন্য কী কী করা যায় সে ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়েছিল ফ্লেচারের কাছে। উনি দলে আরও একজন ট্রেনার চেয়েছেন।”
এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, “বৈঠকে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ফ্লেচারকে সতর্ক করেছেন বলে ইতিমধ্যেই চাউর হয়েছে বেশ কিছু প্রচারমাধ্যমে। কিন্তু তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ফ্লেচারের কোচিংয়ে বোর্ডের সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে।”
চলতি মাসেই শেষ হয়ে যাচ্ছে ফ্লেচারের সঙ্গে বোর্ডের চুক্তি। দিন কয়েক আগেই সুনীল গাওস্কর ফ্লেচারের জায়গায় পরবর্তী ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে রাহুল দ্রাবিড়ের নাম প্রস্তাব করেছিলেন। সে ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে সঞ্জয় পটেল বলেন, “গাওস্কর ব্যক্তিগত মতামত দিতেই পারেন। কিন্তু বোর্ডের সঙ্গে গাওস্করের এমন কোনও চুক্তি নেই যে তিনি যা মত দেবেন তা মেনে চলতে হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy