আর্মান্দো কোলাসোকে পরের মরসুমে কোচ রাখার জন্য কথা চালিয়ে যাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। শর্ত, পাল্টা শর্তের ই-মেল চালাচালি চলছে পুরোদমে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে সম্ভবত সোম বা মঙ্গলবার শীর্ষ কর্তাদের সভায়।
সুপার লিগে কোচিং করা সহ আর্মান্দোর কিছু শর্ত বাতিল করে তাঁকে ই-মেল করেছিল ইস্টবেঙ্গল। তাতে তাঁর দাবি মতো টাকা দিতে না চাইলেও পঞ্চাশ লক্ষ টাকার কাছাকাছি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। শনিবার এর উত্তর দিয়েছেন গোয়ান কোচ। আবার তাঁর পাল্টা মেল পাঠিয়ে ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যাণ মজুমদার বলে দিয়েছেন, “মাছের বাজারে দরাদরি করতে নেমেছি। এখন দেখার কত টাকায় দরাদারি শেষ হয়।” আর আর্মান্দো কী বলছেন? গোয়া থেকে ফোনে তাঁর মন্তব্য, “আমি ক্লাবের সঙ্গে কথা বলছি। এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কিছু হয়নি। নীতুদা (দেবব্রত সরকার) আর সন্তোষের সঙ্গে কথা চলছে। একটু সময় লাগবে।” যা থেকে পরিষ্কার দু’পক্ষই কেউ কারও দরজা বন্ধ করছে না। বরং ইস্টবেঙ্গল যে তাঁকে চাইছে সেটা বোঝা গিয়েছে কোচের তালিকায় থাকা দীপক মণ্ডলকে সই করানোর পরই।
আর্মান্দো শেষ পর্যন্ত কোচ হলে কোনও সমস্যা নেই। না হলে কী হবে? ক্লাব স্পনসর ইউবি-র প্রতিনিধি অমিত সেন বললেন, “সে ক্ষেত্রে সবাই চাইলে মর্গ্যানকেও আমরা প্রস্তাব দিতে পারি। ওর সঙ্গে আমার নিয়মিত কথা হয়। কয়েক দিন আগেও জানিয়েছে, মে মাসের শেষে নাইরোবির ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি করবে। ফলে আলোচনার সুযোগ তো রয়েছে।”
কোচ নিয়ে আলোচনার মধ্যেই হঠাৎ-ই সামনে এসে পড়েছে আর একটি সমস্যা--- আইকন ফুটবলার। ফেডারেশন গত বারই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আই লিগের প্রত্যেকটা টিমে একজন এমন ফুটবলার রাখতে হবে যিনি অন্তত বিশ্বকাপ, ইউরোপিয়ান লিগের মতো টুর্নামেন্টে খেলেছে। এতে চিন্তিত ক্লাব-কর্তারা। ইস্টবেঙ্গল মাঠে এ দিন একটি স্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের মাঝে লাল-হলুদ সচিব কল্যাণবাবু বললেন, “আইকন ফুটবলার আনতে গেলে প্রচুর টাকা দরকার। এমনিতেই চার জন বিদেশির মধ্যে একজন চোট পেয়ে গেলে আর্থিক সমস্যায় পড়তে হয়। তার ওপর আইকন ফুটবলার। আমাদের কাছে নিয়মটাই পরিষ্কার নয়।” যা শুনে আই লিগের সিইও সুনন্দ ধর বললেন, “গত বছর থেকেই এই নিয়ম চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ক্লাবগুলো এক বছর সময় চেয়ে নিয়েছিল। এই বছর থেকে আইকন ফুটবলার রাখতেই হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy