Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

বোলিংই এগিয়ে রাখছে শ্রীলঙ্কাকে

শ্রীলঙ্কা বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচটা আজ কার্যত ওই গ্রুপের সেমিফাইনাল। যারা জিতবে তারা মিরপুরে শেষ চারের যুদ্ধে নামবে। এমন মরণ-বাঁচন ম্যাচে আবার শক্তির দিক থেকে দু’টো টিমই তুল্যমূল্য। তবে বোলিং বৈচিত্রের কথা মাথায় রাখলে, শ্রীলঙ্কা সম্ভবত একটু হলেও এগিয়ে। শেষ চারে নিজেদের জায়গা এখনও পাকা করে ফেলতে না পেরে শ্রীলঙ্কা নিশ্চয়ই হাত কামড়ে মরছে। ইংল্যান্ড ম্যাচে আচমকা ‘হেলস-স্টর্ম’ ওদের সব হিসাব একেবারে লন্ডভন্ড করে দিয়ে যায়।

সেই মালিঙ্গাই শ্রীলঙ্কার তাস। রবিবার প্র্যাকটিসে। ছবি: এএফপি।

সেই মালিঙ্গাই শ্রীলঙ্কার তাস। রবিবার প্র্যাকটিসে। ছবি: এএফপি।

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৪ ০৩:২২
Share: Save:

শ্রীলঙ্কা বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচটা আজ কার্যত ওই গ্রুপের সেমিফাইনাল। যারা জিতবে তারা মিরপুরে শেষ চারের যুদ্ধে নামবে। এমন মরণ-বাঁচন ম্যাচে আবার শক্তির দিক থেকে দু’টো টিমই তুল্যমূল্য। তবে বোলিং বৈচিত্রের কথা মাথায় রাখলে, শ্রীলঙ্কা সম্ভবত একটু হলেও এগিয়ে। শেষ চারে নিজেদের জায়গা এখনও পাকা করে ফেলতে না পেরে শ্রীলঙ্কা নিশ্চয়ই হাত কামড়ে মরছে। ইংল্যান্ড ম্যাচে আচমকা ‘হেলস-স্টর্ম’ ওদের সব হিসাব একেবারে লন্ডভন্ড করে দিয়ে যায়। অ্যালেক্স হেলস সে দিন ওই ইনিংসটা না খেললে শ্রীলঙ্কার আজ দুশ্চিন্তা করার কিছু থাকত না।

চট্টগ্রামের পিচ আর পরিবেশ যে মিরপুরের থেকে কিছুটা আলাদা, সেটা আগেও লিখেছি। চট্টগ্রামে বল পিচে পড়ে সুন্দর ব্যাটে আসছে। ব্যাটসম্যানরা অনেক বেশি স্বচ্ছন্দে স্ট্রোক খেলতে পারছে বলে ওখানে রানও হচ্ছে বেশি। চট্টগ্রামের ম্যাচগুলোয় এক দিকে যেমন বড় স্কোর হচ্ছে, তেমনই বড় রান তাড়া করে জিতছেও দলগুলো। সব মিলিয়ে চট্টগ্রামের পিচ আর পরিবেশ নিউজিল্যান্ডের পছন্দসই। তাই শ্রীলঙ্কা সামান্য এগিয়ে থাকলেও নিউজিল্যান্ডকে হেলাফেলা করা যাচ্ছে না। যে কারণে লড়াই সমানে সমানে হবে বলেই মনে হচ্ছে।

চট্টগ্রামে শিশির অবশ্যই বড় ফ্যাক্টর। যে কারণে টস জিতলে অবধারিত ভাবে পরে ব্যাট করছে ক্যাপ্টেনরা। আবার ১৮০-১৯০ রান তোলার পরেও জেতার ব্যাপারে নিশ্চিন্ত থাকা যাচ্ছে না। জোর দিয়ে বলতে পারি, আজও যে টিমই টস জিতুক, টার্গেট খাড়া করার বদলে রান তাড়া করাই বেছে নেবে।

টুর্নামেন্টে নিউজিল্যান্ড এখনও পর্যন্ত বেশ গোছানো ক্রিকেট খেলেছে। অবশ্য ইংল্যান্ড ১৭০ তোলার পরেও ডাকওয়ার্থ-লুইসে ওই ম্যাচটা জেতার জন্য ওদের ঝড়-বৃষ্টি আর নিজেদের ভাগ্যকে ধন্যবাদ জানানো উচিত। তবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংটা রীতিমতো ভাল। ম্যাকালাম, রস টেলর, কোরি অ্যান্ডারসনের মতো বিপজ্জনক ব্যাটসম্যানরা নিজেদের দিনে একার হাতে ম্যাচ জিতিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। গুপ্তিল আর কেন উইলিয়ামসন আদর্শ ওপেনিং কম্বিনেশন। যেখানে গুপ্তিল একটা দিক ধরে রাখে আর অন্য দিক থেকে প্রতিপক্ষের বোলিংকে আক্রমণ করে যায় উইলিয়ামসন। এই দু’জন আজ শুরুটা ভাল করলে ওদের বিস্ফোরক মিডল অর্ডার বড় ইনিংস গড়ার বাকি কাজটা করে দেবে।

ব্যাটিং নয়, নিউজিল্যান্ডের দুশ্চিন্তা হতে পারে ওদের বোলিং। প্রতিপক্ষ শিবিরে আতঙ্ক ছড়ানোর মতো গতি ওদের পেসারদের নেই। স্পিনাররাও সেই মানের নয় যে শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলতে পারবে। উল্টো দিকে শ্রীলঙ্কার বোলিংয়ে আবার বৈচিত্রের ছড়াছড়ি। কুলশেখরা, মালিঙ্গা, মেন্ডিস, হেরাথ, সেনানায়েকে, ম্যাথেউজ, থিসারা পেরেরা কে নেই! তাই বলছিলাম, বোলিং শক্তিতে শ্রীলঙ্কাকে এগিয়ে রাখতেই হচ্ছে। তবে ওদের ব্যাটিং বড্ড বেশি মাহেলা আর সঙ্গকারা নির্ভর। তায় স্লো ওভার রেটের জন্য সাসপেন্ড হয়ে এই ম্যাচে নেই অধিনায়ক চান্দিমল। ও না থাকা মানে শ্রীলঙ্কার মিডল অর্ডারে বড় ফাঁক তৈরি হওয়া। পুরো ফর্মে না থাকায় দিলশানের ব্যাটিং এখনও স্বচ্ছন্দ নয়। তবু চান্দিমলের অভাব ঢাকার দায়িত্ব আজ দিলশান, কুশল পেরেরা, ম্যাথেউজ আর থিসারা পেরেরাকেই নিতে হবে। ওরা সেটা কত দূর পারে তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংটা যদি জমে যায়, তা হলে কিন্তু এশীয় চ্যাম্পিয়নদের হারানো খুব কঠিন হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

new zealand sri lanka saurav ganguly
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE