পেলের সঙ্গে তাঁর চিরকালীন তুলনা। বিতর্কও। তিনি— দিয়েগো মারাদোনা ২০১৪ বিশ্বকাপ শুরুর আগের দিনও সেই ভাবমূর্তিতে অমলিন। পেলের দেশের বিখ্যাত সংবাদপত্রে সাক্ষাৎকারে নিজের দেশ থেকে মারাদোনার বিস্ফোরক মন্তব্য, “মেসি আর নেইমারের মধ্যে ঠিক ততটাই তফাত যতটা তফাত মারাদোনা আর পেলের মধ্যে ছিল।”
পেলে বনাম মারাদোনার মতোই সাম্প্রতিক বিশ্ব ফুটবলে মেসি আর নেইমারের মধ্যে তুলনা একটা বহুচর্চিত বিষয়। পেলের একটা মন্তব্য ‘মেসির খেলায় ব্রাজিলিয়ান স্টাইল বেশি’ মারাদোনাকে মনে করিয়ে দিলে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে তিনি ফুঁসে উঠে বলেছেন, “কী? ওকে বলো যাদুঘরে চলে যেতে। আসল কথা হল, লিও (মেসি) আমার চেয়েও বেশি আর্জেন্তিনিয়ান।”
আর নেইমার? মারাদোনার এ বার জবাব, “নেইমার এখন ব্রাজিলে পেলে। ব্রাজিল ফুটবলের সবচেয়ে বড় ছবি। তবে নেইমার যদি পেলে হয়, তা হলে মেসিও মারাদোনা। তবে এখানেও আসল কথাটা হল, মারাদোনা আর পেলের মধ্যে যা তফাত ছিল, এখন মেসি আর নেইমারের মধ্যে সেই তফাত।” স্পষ্ট বোঝাতে চেয়েছেন, তিনি পেলের চেয়ে বড় ফুটবলার ছিলেন।
চার বছর আগে বিশ্বকাপে আর্জেন্তিনা দলের কোচ থাকার সময় মেসিকে তিনি কী ভাবে সামলেছেন জানাতে গিয়ে মারাদোনা বলেছেন, “ওকে কিছু বলতেই যেতাম না। ও এতটাই বড় ফুটবলার যে, ম্যাচে কখন কী করা দরকার নিজেই বোঝে। ট্রেনিংয়ে সেটা দেখতাম। এটাই হল কোচ-ফুটবলারের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা। আমাদের এখনকার কোচ সাবেয়ার থেকে আমি এটুকুই কেবল প্রত্যাশা করি। বিলার্দো আর বিগ ওয়ান, মানে আমাদের আর্জেন্তিনা ফুটবলের প্রেসিডেন্টের মধ্যেও এই গুণটা দেখা যায়।” এ বারের আর্জেন্তিনা দলের জন্য মারাদোনার পরামর্শ সেটাই যেটা তিনি কোচ হিসেবে গত বিশ্বকাপে টিমের সামনে বলেছিলেন ‘‘যদি বিশ্বমানের পারফরম্যান্স দেখাতে না পারো, তা হলে বিশ্বকাপ খেলার কোনও মানে নেই। তোমাকে নিজের অস্তিত্ব মাঠে জাহির করতে হবে আর সব সময় বলের জন্য দৌড়তে হবে।”
কী মনে হচ্ছে, ব্রাজিল থেকে আর্জেন্তিনা কাপ নিয়ে যাবে? মারাদোনার সাফ জবাব, “আর যদি সেটা ফাইনালে ব্রাজিলকে হারিয়ে আর্জেন্তিনা ঘটাতে পারে, তা হলে আমার যৌন তৃপ্তি ঘটার মতোই অনুভূতি হবে!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy