Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
হাবাসের সঙ্গে ঝামেলা তুঙ্গে

গোয়ার প্রথম দলের বিমানে জায়গা হল না ফিকরুর

এমনকী সবাইকে চমকে দিয়ে সোমবার গোয়া রওনা হওয়ার আগে রিজার্ভ বেঞ্চের প্র্যাকটিসে উপস্থিত কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাসও। যা কোনও দিন হয়নি। জিকোর গোয়ার বিরুদ্ধে বুধবারের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল যে প্রচণ্ড কঠিন সেটা জেনেই হাবাসের এই ভাবনা-বদল বোঝাই যায়। কোচ বদলে গেলেন। কিন্তু ফিকরু তেফেরা তো বদলালেন না! তিনি তো এ দিনও মাঠে নামলেন না। গেলেন না দলের সঙ্গেও। কেন গেলেন না, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:১৩
Share: Save:

দলের ধারাবাহিক ভাবে সবচেয়ে ভাল খেলা অর্ণব মণ্ডল চোট সারিয়ে প্র্যাকটিসে নেমে পড়লেন! নিজেই জানাচ্ছেন, আশি শতাংশ ফিট হয়ে গিয়েছেন।

হোফ্রেও চোট সারিয়ে প্র্যাকটিসে নেমে পড়লেন! মারগাওয়ে দলে ঢোকার জন্য মরিয়া তিনিও।

বিশ্বজিৎ সাহা, মোহনরাজ, শুভাশিস-সহ গোয়া ম্যাচের পুরো রিজার্ভ বেঞ্চও হাজির সোমবার সকালের যুবভারতীতে।

এমনকী সবাইকে চমকে দিয়ে সোমবার গোয়া রওনা হওয়ার আগে রিজার্ভ বেঞ্চের প্র্যাকটিসে উপস্থিত কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাসও। যা কোনও দিন হয়নি।

জিকোর গোয়ার বিরুদ্ধে বুধবারের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল যে প্রচণ্ড কঠিন সেটা জেনেই হাবাসের এই ভাবনা-বদল বোঝাই যায়।

কোচ বদলে গেলেন। কিন্তু ফিকরু তেফেরা তো বদলালেন না! তিনি তো এ দিনও মাঠে নামলেন না। গেলেন না দলের সঙ্গেও। কেন গেলেন না, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। তাঁর সতীর্থরা বলছেন, “ও তো কিট নিয়ে তৈরি হয়ে ঘোরাঘুরি করছিল। এয়ারপোর্টে গিয়ে দেখলাম আসেনি।” খবর ছড়িয়ে যায় কোচের সঙ্গে গণ্ডগোলের জন্য এবং রিজার্ভ বেঞ্চের অনুশীলনে না আসায় তাঁর নাম শেষ মুহূর্তে কেটে দিয়েছেন কোচ। আটলেটিকো টিম সূত্রের খবর, দু’দিন অনুশীলন না করায় কলকাতার সেমিফাইনালেও তাঁকে শেষ মুহূর্তে বাদ দিয়ে দেন হাবাস। আটলেটিকো কোচ আস্থা রাখেন গার্সিয়া-সহ স্প্যানিশ ফুটবলারদের উপরই। তা নিয়ে নাকি ম্যাচের পর ইথিওপিয়ান স্ট্রাইকারের সঙ্গে কোচের বড় ঝামেলা বেধেছিল। সে জন্যই এ দিন তাঁকে দলের সঙ্গে নিয়ে যেতে চাননি হাবাস। টিমের টিডি সহর্ষ পারেখ গোয়া থেকে সোমবার রাতে অবশ্য দাবি করলেন, “ফিকরুর কিছু চিকিৎসা বাকি রয়েছে। মেডিক্যাল টেস্ট করা হচ্ছে। ও মঙ্গলবার সকালের বিমানে গোয়া আসবে।” কিন্তু তাতেও জল্পনা কমেনি। প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, ফিকরুর মতো ঝামেলাবাজ ফুটবলারকে কি হাবাস বুধবার নামাবেন গ্রেগরি-সান্তোসদের বিরুদ্ধে? গার্সিয়া বনাম ফিকরুদের ঝামেলায় কোচও জড়িয়ে পড়ায় তিতিবিরক্ত কর্তারা। এক টিম মালিক তো বলেই ফেললেন, “ওরে বাবা, যা চলছে! আর দুটো ম্যাচ শেষ হলে বাঁচি। তার পর সামনের বছর কী করা যায়, দেখা যাবে।”

ফিকরুকে নিয়ে তীব্র ঝামেলার মধ্যেই অবশ্য সোমবার দুপুরে পুরো টিমের সঙ্গে ‘মিশন গোয়া’র উদ্দেশ্যে রওনা হল হাবাস ব্রিগেড। তবে কলকাতার স্ট্রাইকারকে ঘিরে ধোঁয়াশা রয়েই গেল। তাঁর যে কোথায় চোট, সেটাও পরিষ্কার করে কিছু বোঝা যাচ্ছে না। কখনও শোনা যাচ্ছে হ্যামস্ট্রিংয়ে। আবার কখনও শোনা যাচ্ছে তাঁর পিঠে ব্যথা। সব মিলিয়ে কলকাতা টিমের সবথেকে ‘রহস্যময়’ ফুটবলার এখন ফিকরু। আর বেচারা মামুনুল। বাংলাদেশের অধিনায়ক হওয়া সত্ত্বেও এক মিনিটও সুযোগ না পেয়ে ফিরে গেলেন দেশে। জাতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে।

এ দিকে সোমবার বিশেষ চার্টার্ড বিমানে সরাসরি গোয়া গেলেন গার্সিয়ারা। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ অর্ণব-বোরহারা পৌঁছলেন গোয়ায়। ফতোরদা স্টেডিয়ামে ইতিমধ্যেই খেলেছে কলকাতা। তাই দেরি করে পৌঁছলেও ওখানে মানিয়ে নিতে সমস্যা হবে না বলেই মনে করছেন হাবাস। তবে গোয়ার স্ট্র্যাটেজি এবং আক্রমণের ঝাঁঝ চিন্তায় রেখেছে স্প্যানিশ কোচকে। তাঁর ভাবনায় ঢুকে পড়েছে মূলত স্লেপিচকার গোলের মুখ খোলার মরিয়া মনোভাব এবং জিকোর টিমের উইং প্লে। কোচের ভাবনার প্রতিফলন শোনা গেল অর্ণব মণ্ডলের কথাতেই। “ওদের স্লেপিচকা যে ভাবে কাল (রবিবার) গোলের সুযোগ তৈরি করছিল তা সত্যিই চিন্তার। ওকে নজরে রাখতে হবে। না হলেই বিপদ।”

এ বার চাঙ্গা হওয়ার পালা। নিজের ছবি পোস্ট করে ফেসবুকে লিখেছেন লুই গার্সিয়া।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE