ভবিষ্যদ্বাণীটা আমি সচরাচর করি না। কিন্তু ব্রাজিলে বিশ্বকাপ ‘বিজনেস এন্ডে’ ঢুকে পড়ায়, টুর্নামেন্টের শেষের দিকে একটুআধটু ভবিষ্যদ্বাণী করার লোভ সামলাতেও পারছি না।
প্রথমেই মনে হচ্ছে, শনিবার চিলির বিরুদ্ধে ব্রাজিলের লড়াইটা মোটেই সহজ হবে না। পার্কে বেড়াবার মতো অনায়াসে নেইমাররা জিতে কোয়ার্টার ফাইনাল চলে যাবে ভাবলে ভুল হবে। যদিও কাগজকলমে ব্রাজিল অনেকখানি এগিয়ে।
কিন্তু গত কয়েক বছরে দেশজ ফুটবলের ধারাটা হল, ছোটমাপের দলগুলো বড়মাপের প্রাক্তন ফুটবল তারকাকে নিজেদের জাতীয় দলের সঙ্গে হয় পরামর্শদাতা হিসাবে যুক্ত করছে। কিংবা সফল ক্লাব কোচকে উপেক্ষা করে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জাতীয় দলের কোচ নিয়োগ করছে নিজেদের জাতীয় দলে। সত্যিকারের উঁচুমানের স্কিলফুল দল হয়ে ওঠার লক্ষ্যে। ফুটবলে স্কিলই অন্যতম প্রধান বস্তু যেটা সাধারণমানের দলের সঙ্গে ভাল দলের গুণগত পার্থক্য ঘটায়। এই কোচেরা দলের মধ্যে শৃঙ্খলা বাড়িয়ে টিমস্পিরিটকে উঁচুতে নিয়ে গিয়েছে। তাদের নিজস্ব ট্রেনিংয়ের গুণে। চিলি, কলম্বিয়া, কোস্টারিকার মতো দেশগুলো শেষ ষোলোয় উঠে আমার এই মতকেই সমর্থন করছে।
সে কারণে ব্রাজিলের মতোই শনিবার উরুগুয়েরও আদৌ সহজ হবে না কলম্বিয়ার সঙ্গে লড়াই। সুয়ারেজ না থাকায় আমি তো উরুগুয়ের থেকে এগিয়েই রাখতে চাইব কলম্বিয়াকে। সুয়ারেজহীন উরুগুয়েকে কখনই গ্রেট টিম বলা যায় না।
স্কোলারির ডায়েরি। সবিস্তার জানতে ক্লিক করুন।
আরও একটা অঘটনের ভবিষ্যদ্বাণী করার লোভ সামলাতে পারছি না ফ্রান্স-নাইজিরিয়া ম্যাচে। আফ্রিকান দলটির গোলকিপার ভিনসেন্ট এনেমার এই টুর্নামেন্টে পারফরম্যান্স অসাধারণ। এনেমার সামনে ওর দশ সতীর্থ ফুটবলারকেও জমাট, শক্তিশালী দেখাচ্ছে। যারা যে কোনও সময় অঘটন ঘটাতে পারে।
তবে আলজিরিয়ার কাছে জার্মানি ভীষণই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিসাবে প্রতিপন্ন হবে হয়তো। বেলজিয়ামকেও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অনেকটা এগিয়ে রাখছি।
এ বার আর্জেন্তিনা। সের্জিও আগেরোর চোট ওদের কাছে একটা বড় ধাক্কা। আগেরোর সার্ভিস নক আউটে পাওয়া যেতে পারে আবার নাও পারে। তবে যেহেতু সম্ভাব্য বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হিসাবে আর্জেন্তিনাই আমার এক নম্বর বাজি, সে কারণে আগেরো খেলুক বা না খেলুক, সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে আমি মেসিদেরই সমর্থন করব।
নক আউটে পৌঁছে বিশ্বকাপ এখন সর্ম্পূণ ওপেন। গ্রুপ লিগেও বসনিয়া, যুক্তরাষ্ট্র দেখিয়েছে, সহজ ম্যাচ বলে এখন বিশ্বকাপে কিছু নেই। অপ্রতিরোধ্য টিম বলেও কিছু নেই। কোস্টারিকা আর গ্রিস এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। গতি, টিমগেমের জোরে এরা হেভিওয়েট প্রতিপক্ষকে হারিয়ে নক আউটে পৌঁছেছে। একই কথা বলা যায় মেক্সিকো প্রসঙ্গেও। দলে বিরাট বড়মাপের তারকা ফুটবলার না থাকার ব্যাপারটা এই দলগুলো এখনও পর্যন্ত বুঝতে দেয়নি, সত্যিকারের দল হিসাবে মাঠে ফুটে উঠে। দলগত শক্তি অনেক সময়ই অসাধারণ ব্যক্তিগত নৈপুণ্যকে টপকে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy