স্পেনের বিখ্যাত ক্লাব আটলেটিকো মাদ্রিদের জার্সি পরেই খেলবেন আটলেটিকো দ্য কলকাতা-র ফুটবলাররা।
সেই সাদা-লালের ডোরাকাটা। গলায় এবং হাতে নিল বর্ডার বিশ্বখ্যাত ‘রোখি ব্ল্যাঙ্কো’। যে জার্সি পরে এ বার লা লিগা চ্যাম্পিয়ন এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ রানার্স হয়েছে আটলেটিকো মাদ্রিদ। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি শুরু হতে যাওয়া আইএসএলে সেই জার্সিই বেছে নিয়েছেন কলকাতার টিম মালিকরা। কলকাতার টিমের জার্সিতে চমক না থাকলেও, চমক আছে লোগোয়। যা দেখে আশ্চর্য হয়ে গিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বাঘের পিঠে উড়ন্ত ঈগলের ডানা! নবান্নে সোমবার দুপুরে কলকাতা টিমের জার্সি এবং লোগো উদ্বোধনের পর মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোক্তাদের প্রশ্ন করেছেন, আমাদের বাংলার রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের পিঠে ডানা কেন? বক্তব্য রাখতে গিয়ে নিজেই বলছিলেন মমতা। তবে জার্সি এবং লোগোকে ছাপিয়ে আরও বড় চমক তার আগেই দিয়েছিলেন কলকাতা টিমের মালিকরা। যখন মঞ্চের পিছনে বিশাল পর্দায় ফুটে উঠল এক বিশ্বকাপারের মুখ। গোলের পর গোল করে চলেছেন দশ নম্বর জার্সি পরে। নাম লুইস গার্সিয়া। স্পেনের হয়ে দু’হাজার ছয়ে জার্মানি বিশ্বকাপে খেলেছেন। ক্লাব ফুটবলে বার্সেলোনা, লিভারপুলে খেলেছেন নিয়মিত। লিভারপুলের চ্যাম্পিয়ন লিগ জয়ী দলেরও সদস্য ছিলেন গার্সিয়া। সদ্য অবসর নেওয়া সেই গার্সিয়াকেই তাদের আইকন ফুটবলার করে সুপার লিগে নামাচ্ছে কলকাতা। যুবভারতীতে খেলতে দেখা যাবে বিশ্বখ্যাত লেফট উইঙ্গারকে।
কোচ হিসাবে স্পেনের আন্তোানিও লোপেজ হাবাস-কে বেছে নিয়েছে সঞ্জীব গোয়েনকা-হর্ষ নেওটিয়া-সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, উৎসব পারেখদের কলকাতা টিম। স্পেন ছাড়াও বলিভিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকায় কোচিং করিয়েছেন লোপেজ। কলকাতার দলে তাঁর সহকারী থাকবেন স্পেনের মৃগেল অ্যাঞ্জেল এবং শহরের সুপরিচিত ব্রাজিলিয়ান হোসে ব্যারেটো। কোচিং টিমের চার জনই উপস্থিত ছিলেন এ দিনের অনুষ্ঠানে। ফুটবল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী-সহ রাজ্য সরকারের পদাধিকারীদের উন্মাদনা দেখার পর আটলেটিকো দ্য কলকাতার কোচ বলে দেন, “সিডিতে কলকাতা লিগের ম্যাচ দেখেছি। কত লোক খেলা দেখতে আসে! কী উন্মাদনা! ভারত ফুটবলের ঘুমন্ত দৈত্য। একশো কোটির দেশে ফুটবলের এই প্যাশনটাই আমাকে টেনে এনেছে।” মঞ্চে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের তিনটে চেয়ার পরে বসেছিলেন লোপেজ। বলছিলেন, “দক্ষিণ আফ্রিকায় আমি কোচিং করিয়েছি। সেখানে ক্রিকেটও জনপ্রিয়। সৌরভের নাম ওখানেই শুনেছি। এখানে কোচিং করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সৌরভের সঙ্গে বেশ কয়েক বার কথা হয়েছে। টেকনিক্যালি খুব সাউন্ড।” এসে পড়ল বিশ্বকাপ প্রসঙ্গও। “আমার মনে হয় ব্রাজিল এবং আর্জেন্তিনাই ফাইনাল হবে। তবে নেইমার চলে যাওয়ায় আর্জেন্তিনার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মেসি দুর্দান্ত ফর্মে আছে। ব্রাজিল অবশ্য দর্শক সমর্থন পাবে।”