অস্ট্রেলিয়ার লিড সাড়ে তিনশোর মধ্যে আটকে রাখতে পারলে ভাল। না হলে বর্ডার-গাওস্কর ট্রফি আজই অস্ট্রেলিয়ার হয়ে যাবে।
এই লেখাটা যখন আপনারা পড়ছেন, তখন হয়তো মেলবোর্ন টেস্টের শেষ দিনের প্রথম সেশনটা হয়ে গিয়েছে। তবু সোমবার রাতে ম্যাচ রিপোর্টটা লিখতে গিয়ে যা যা মনে হচ্ছে, একটু বলি। মঙ্গলবার ধোনির ভারতের প্রথম কাজই হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস শেষ করে দেওয়া। বললামই তো, সাড়ে তিনশো বা তার কম রান তাড়া করতে নামলে ভারতের তবু একটা ক্ষীণ আশা আছে। কিন্তু রানটা যদি তার বেশি উঠে যায়, তা হলে আমি আর কোনও আশার আলো দেখছি না। তখন ম্যাচটা পুরোপুরি ভারতের হাত থেকে বেরিয়ে যাবে। ব্যাপারটা তখন কী রকম দাঁড়াবে জানেন? ভারতকে যেন তখন অস্ট্রেলিয়ার কাছে আকুল ভাবে আবেদন জানাতে হবে দয়া করে এ বার ইনিংসটা ডিক্লেয়ার করে দাও। না হলে তো সিরিজটা এখানেই মরে গেল।
অস্ট্রেলিয়া যদি ড্রয়ের জন্য খেলে, তা হলে ওদের দোষ দেওয়ার কিছুই নেই। আর সত্যি বলতে কী, ভারতের যা বোলিং দেখে যাচ্ছি, তাতে ওদের নিয়ে বেশি আশা করাটা বোধহয় ঠিক হবে না। সোমবারের একটা সেশনেই যা ভাল বল করল ইশান্ত শর্মারা। এই সিরিজে ভারতীয় বোলারদের সেরা পারফরম্যান্স। বিশেষ করে ইশান্তের। কিন্তু ওই একটা সেশনে যে সুযোগটা ভারতের হাতে এল, সেটাও তো কাজে লাগানো গেল না। ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ স্মিথদের আউট করে দেওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার উপর যে চাপটা তৈরি করা যেত, সেটাও মাঠেই ফেলে এল ভারত। উল্টে আবার সেই ওভারপিছু অন্তত একটা করে বাউন্ডারি দিয়ে গেল। এক ওভারে ড্রাইভ তো আর এক ওভারে ফ্লিক চার দিকে রান খেয়ে যেতে হল। বোলারদের এই পারফরম্যান্সকে জঘন্য বললেও কম বলা হয়। রায়ান হ্যারিসকে দেখে শিখতে পারে ওরা। এই টেস্টেই দেখলাম, পাঁচ ওভারের একটা স্পেলে তিরিশটা বলের তিরিশটাই একই জায়গায় রেখে গেল হ্যারিস। এই শৃঙ্খলাটা ভারতীয়দের প্রচণ্ড ভাবে দরকার।