শুধু অসাধারণ ফর্মের জন্যই নয়, প্রতিভা এবং গতি দুটোর জন্যই রবেন প্রভূত বন্দিত হচ্ছেন ব্রাজিল বিশ্বকাপে। কারও কারও মনে হচ্ছে, তিনি মেসির সমকক্ষ। মনে করা হচ্ছে সেমিফাইনালে মেসি যদি দুটো টিমের মধ্যে ডিসাইডিং ফ্যাক্টর হয়ে ওঠেন, সেই একই ক্ষমতা বায়ার্নের তিরিশ বছরের উইঙ্গারেরও আছে। যে ক্ষমতা টিমে আমদানি করেছে অফুরন্ত আত্মবিশ্বাস। যার জোরে রবিন ফান পার্সি থেকে ডার্ক কাউট পরিষ্কার বলে দিচ্ছেন, আর্জেন্তিনার বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল খেলা মোটেও স্বপ্ন নয়। স্বপ্ন বিশ্বকাপটাকে হাতে ধরা।
“আমরা জানি সেমিফাইনালে চল্লিশ হাজার আর্জেন্তিনীয় সমর্থক থাকবে। যারা মেসির জন্য চেঁচাবে। তাতে আমাদের সুবিধেই হয়। চিলি বা মেক্সিকো ম্যাচেও দেখেছি, আমরা সংখ্যালঘু। কিন্তু সেটা আমাদের শক্তি বাড়িয়ে দেয়। এ বারও দেবে,” বলে দিয়েছেন কাউট। এ বারের বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল লাইন-আপ দেখে যাঁর সত্যিই এটাকে বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল বলেই মনে হচ্ছে। বলছেন, “বিশ্বের চারটে সেরা টিম সেমিফাইনাল খেলছে। ব্রাজিল, জার্মানি, আর্জেন্তিনা আর নেদারল্যান্ডস। এ সব ম্যাচেই তো নিজেদের প্রমাণ করব। সেরাদের হারিয়ে নিজেরা সেরা হওয়ার মধ্যে একটা আলাদা ব্যাপার আছে। আমরা এখন আর্জেন্তিনাকে হারাব। তার পর বিশ্বকাপটা ঘরে আনব।”
স্নাইডার এবং কাউট দু’জনেরই মনে আছে আটাত্তরের ফাইনালের ইতিহাস। যখন আর্জেন্তিনার কাছে ৩-১ হেরে রানার্স-আপ হয়ে সন্তুষ্ট হতে হয়েছিল ডাচদের। তার পর দু’দলের দেখা হয়েছিল ২০০৬ বিশ্বকাপে। যে ম্যাচ গোলশূন্য ভাবে শেষ হয়। এ বার কী হবে? কাউটের ভবিষ্যদ্বাণী, “জার্মানি বিশ্বকাপ একদম আলাদা ছিল। এখন দুটো টিমই কোয়ালিফাই করে গিয়েছে। এখন তুমি জিতবে, নইলে বাড়ি যাবে। ব্রাজিল বিশ্বকাপটা এমনিতেই অসাধারণ হচ্ছে। প্রচুর গোল হচ্ছে, ভাল ম্যাচ হচ্ছে। আর এ বার আর্জেন্তিনা দেখবে নেদারল্যান্ডস কী জিনিস!”