মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দেশে ফিরেই ওয়াংখেড়েতে নেমে পড়েছে এবং জিতেছে। বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুও ভারতে পৌঁছে প্রথম ম্যাচ চিন্নাস্বামীতে খেলে জিতল। আজ সোমবার, কোটলায় নামছে দিল্লিও। কেকেআরের সেখানে ইডেনে নামতে নামতে আইপিএল প্রায় শেষের দিকে চলে যাবে। এবং টুর্নামেন্টের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে ঘরের মাঠে নামার সুবিধে না পাওয়াটা টিমের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলছে বলে মনে করছে নাইট শিবির।
আজ, সোমবার রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ভারতে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নামছে কেকেআর। নামছে, আমদাবাদের মোতেরায়। যা কি না এ বার শেন ওয়াটসনদের ‘হোম’। কেকেআরের সেখানে ইডেনে নামতে নামতে ১৪ মে। যখন হাতে পড়ে থাকবে আর পাঁচটা ম্যাচ। এ দিন প্র্যাকটিসের শেষে নাইট রাইডার্স কোচ ট্রেভর বেলিস সাংবাদিক সম্মেলনে বলে দিলেন, “আমাদের হোম ম্যাচ দেরিতে থাকায় কিছুটা সমস্যা তো হচ্ছেই। কিন্তু এটা তো হওয়ারই ছিল। যা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই, সেটা নিয়ে ভেবে আর লাভ কী?”
রাতের দিকে কেকেআরের কোনও কোনও কর্তার গলাতেও একই হতাশা প্রতিধ্বনিত হতে শোনা গেল। কিন্তু পাশাপাশি এটাও বলা হল যে, হোম অ্যাডভান্টেজ দেরিতে পাওয়ায় যতটা অসুবিধে হচ্ছে, ঠিক ততটাই অসুবিধে হচ্ছে আইপিএলের আমিরশাহি পর্বে দু’টো নিশ্চিত ম্যাচ কেকেআর অভাবনীয় হেরে বসায়। খুব সহজে, কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ১৩২ রান তাড়া করে জিততে না পারা। এবং রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ১০ বলে ১৬ চাই এই অবস্থা থেকে ম্যাচ সুপার ওভারে নিয়ে যাওয়া। কেকেআরের সঙ্গে জড়িত কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, টুর্নামেন্ট এ বার এমনিতেই আট দলের। ন’টা টিমের নয়। ম্যাচ সংখ্যা ষোলোর বদলে চোদ্দো। অতএব ‘মার্জিন অব এরর’ খুব কম। অন্যান্য বার যে নিঃশ্বাস ফেলার সময়টা পাওয়া যায়, ভুলচুক শুধরে নেওয়ার সময়টা থাকে, এ বার সেটা নেই। বলা হচ্ছে, ওই দু’টো ম্যাচ জিতে গেলে হালফিলে কেকেআর ব্যাটিং, গৌতম গম্ভীরের ফর্ম, এত সব নিয়ে কোনও প্রশ্নই উঠত না।