ক্রিকেট বিশ্বের সর্বোত্তম মর্যাদামণ্ডিত মাঠে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হচ্ছে। যে গ্রাউন্ডে ইংল্যান্ড সফরকারী প্রতিটা বিদেশি দলের ক্রিকেটার খেলতে মুখিয়ে থাকে। এই ভারতীয় টিমের বেশির ভাগ ছেলের এটাই প্রথম লর্ডস টেস্ট। সে জন্য মাঠটার গরিমা আর ইতিহাসের জৌলুসে তারা যেন ভেসে না যায়, সে দিকে নজর রাখাটা ধোনির পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ। আমার কাছে চলতি পাঁচ টেস্ট সিরিজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ এটাই। যারাই লর্ডসে জিততে পারবে সিরিজ জয়ের চিন্তা খুব ভাল ভাবে শুরু করে দেবে। সে কারণে আজ টেস্টের প্রথম দিন ভারতীয়রা লর্ডসে পা রাখুক স্নায়ুকে ঠান্ডা রেখে। মাত্রাতিরিক্ত অ্যাড্রিনালিন খরচ না করে। আর তার একমাত্র উপায় ম্যাচ শুরুর আগে যথাসম্ভব বেশি সময় লর্ডসের সবুজ গালিচায় প্র্যাকটিস করা। পারলে আজ সকালে ভারতীয় দল ঘণ্টাকয়েক ধরে লর্ডসের মাঠ, ড্রেসিংরুম, লং রুম— ঐতিহাসিক ভাবে প্রসিদ্ধ জায়গাগুলোর আঁচটা জীবনের আর সব কিছুর মতোই গায়ে মাখুক। গোটা পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে সড়গড় করে নিক নিজেদের, মাঠে প্রথম বলটা খেলার আগে।
যদিও এত কিছু সত্ত্বেও টসের আগে পিচই সবচেয়ে আলোচ্য বিষয় হবে। বিলেতের ক্রিকেটমহলে ট্রেন্টব্রিজে প্রথম টেস্টে পেসারদের বিপক্ষে যাওয়া পাটা উইকেটের সমালোচনা চলছে। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, ওরা খুব বেশি ভারতে আসে না। কিন্তু ওদের অবশ্যই বোঝা উচিত, কখনওসখনও টেস্ট ম্যাচ এ জাতীয় উইকেটেও খেলা হয় আর তাতেও রেজাল্টের চেষ্টা করতে হয়। এখন গত দু’দিন ধরে লর্ডসের উইকেট নিয়ে জল্পনা চলছে। তবে শেষ তিন দিন লন্ডনে এত চড়া রোদ যে, পিচপ্রস্ততকারকের পক্ষে উইকেটে আর্দ্র ভাব রাখাটা যথেষ্ট কঠিন।
দু’দলেরই প্রথম এগারো বাছার ব্যাপার রয়েছে। এবং আজ সকাল পর্যন্ত দু’দলেরই কিছু প্লেয়ার প্রথম দলে ঢোকার ব্যাপারে সংশয়ে থাকবে। ল্যাঙ্কাশায়ার স্পিনার কেরিগানকে স্কোয়াডে নিয়েছে ইংল্যান্ড। এবং আমার মনে হয় না, তাকে খেলাতে ওরা দেরি করবে বলে। বিশ্বের প্রতিটা ভাল ক্রিকেট দলে ভাল স্পিনার আছে। কিন্তু ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটে সেটা এই মুহূর্তে চোখে পড়ে না। তবে ওদের বোঝা উচিত, কোনও কোনও সময় এক জন তরুণ ক্রিকেটারকে বিরাট মঞ্চে ফেলে দিয়ে দেখা ভাল, তাকে সেখানে ঠিক কতটা মানায়। তরুণ হরভজন সিংহকে কিন্তু সটান অনূর্ধ্ব-১৯ টিম থেকে টেস্টে নামানোর ঝুঁকি নিয়ে ভারত সফল হয়েছিল।