ন’বছর আগের জগমোহন ডালমিয়া আর সোমবার রাতের তিনি। সে দিন এমনই এক বোর্ড মিটিং সেরে শহরে ফিরেছিলেন একরাশ গ্লানি ও অসম্মান নিয়ে, সেই ভদ্রলোকই ন’বছর বাদে সেই বিমানবন্দরে ফিরলেন একরাশ জয়ধ্বনি ও উৎসবের মাঝে।
বিমানবন্দরের এই উৎসবমুখর ছবি দেখে বোধহয় সে দিনের কথাই মনে পড়ে গেল তাঁর। সে কথা বলতে বলতে চোখের জলও ধরে রাখতে পারলেন না। যখন বলছিলেন, “সে দিনের আর এ দিনের তফাৎটা শুধুই একটা মুহূর্তের। এদের (সিএবি কর্তাদের) এত ভালবাসা, এত আবেগ আমাকে নিয়ে, কী বলব। এদের জন্যই তো আমি এই লড়াইটা করতে পারলাম,” তখন তাঁর গলায় কান্না ভেজা আবেগ। নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে বলেই ফেললেন, “এদের ভালবাসা দেখে আর চোখের জল ধরে রাখতে পারছি না।”
দমদম বিমানবন্দর থেকে তিনি বেরোতেই সিএবি-র আধা, মেজো, ছোট কর্তারা মালা ও ফুল নিয়ে ‘লং লিভ ডালমিয়া, জগুদা জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিতে দিতে যখন প্রায় ঝাঁপিয়ে পড়লেন ফের বোর্ড প্রেসিডেন্ট হয়ে আসা পঁচাত্তরের বোর্ডপ্রধানের উপর, তাতে ‘কে আগে প্রাণ, করিবেক দান’-এর ছবিটাই স্পষ্ট। হইচই আর একটু বাড়তে দিলেই হয়তো পদপিষ্ঠ হয়ে পড়তেন। হাজির ছিল ফুল-মালা নিয়ে আসা এক অনাথ আশ্রমের শিশুরা।