বিশ্বকাপ চলছে। ফেভারিট টিম ব্রাজিল নিয়ে আগ্রহে লাগাম রাখা যাচ্ছে না। নেইমারদের চাহিদা আকাশ ছোঁয়া। এর মধ্যে ব্রাজিলের কোচের একটা ইন্টারভিউ কোনও ভাবে ম্যানেজ করার থেকে বিশ্বকাপ কভার করতে আসা সাংবাদিকদের কাছে মহার্ঘ আর কী হতে পারে! মেক্সিকো আটকে দেওয়ার পর এমনিতেই কোচের প্রতিক্রিয়া জানতে গোটা বিশ্ব উন্মুখ হয়ে রয়েছে। এই বাজারে স্কোলারির একটা সাক্ষাৎকার পাবলিক ‘গপ গপ’ করে খাবে।
বুধবার রিও থেকে সাও পাওলোগামী বিমানে চড়ার সময় এটাই বোধহয় ভাবছিলেন অভিজ্ঞ ব্রাজিলিয়ান সাংবাদিক মারিও সের্জিও কন্তি। কিছুক্ষণ পর নিজের ভাগ্যকে নিজেই কুর্নিশ করতে শুরু করেন ভদ্রলোক। বিমানে তাঁর পাশের সিটেই এসে বসেছেন কিনা স্বয়ং লুই ফিলিপ স্কোলারি! আরে! নেইমারও তো উঠলেন। তবে একটু দূরে গিয়ে বসেছেন ‘ওয়ান্ডার কিড’। এ যে গাছে না উঠতেই এক কাঁদি। সাও পাওলো পৌঁছতে বেশিক্ষণ লাগবে না। হাতে সময় কম। দু’জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া যাবে না। কিছুক্ষণের মধ্যে বেশ গুছিয়ে কন্টি তাই সাক্ষাৎকার নেন শুধু সেলেকাও কোচেরই। ব্রাজিলের দুটি সংবাদপত্রে যা বেরিয়েও যায়। কিন্তু এর পরই ঘটে বিপত্তি।
হঠাৎ আবিষ্কার হয়, ব্রাজিল কোচ সে দিন ফোর্তালেজা ছেড়ে কোথাও যাননি। খবরটা নিশ্চিত করার পরই তাজ্জব হয়ে যান কন্তি। তা হলে সাও পাওলোর বিমানে তাঁকে সাক্ষাৎকার দিল কে? কিছুক্ষণ পরই রহস্যটা পরিষ্কার হয়। বিমানে সেদিন স্কোলারি নন, হুবহু তাঁর মতো দেখতে এক ব্যক্তি তাঁর পাশে বসেছিলেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায় তাঁর নাম ভ্লাদিমির পালোমো। রিও-তে এক কমেডি শো সেরে তিনি সাও পাওলো ফিরছিলেন। বলা বাহুল্য শো-তে স্কোলারির ভূমিকাই নিয়েছিলেন তিনি।