পর পর তিনটে ম্যাচ জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলে আজ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নামছে ভারত। অন্য দিকে, অস্ট্রেলিয়ার সামনে শেষ চারের রাস্তাটা শুধু কঠিন নয়, ড্যারেন স্যামি-বাহিনীর কাছে নাটকীয় হারের পর প্রায় বন্ধই হয়ে গিয়েছে। এই টুর্নামেন্টে অস্ট্রেলিয়া খুব ভাল ব্যাট করেছে। কিন্তু দলের আসল দুর্বলতা হয়ে দাঁড়িয়েছে ওদের চার পেসারে সাজানো বোলিং আক্রমণ। যা স্পিন সহায়ক মিরপুরের উইকেটের জন্য একেবারেই উপযুক্ত নয় বলে আমি মনে করি। উল্টো দিকে, ভারতকে দেখে এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সেরা দল বলে মনে হচ্ছে। যার পিছনে মিরপুরের পিচে ভারতীয় স্পিনারদের সাফল্য সবচেয়ে বড় কারণ।
মিরপুরের পিচ আর পরিবেশ দারুণ ভাবে কাজে লাগিয়েছে অমিত মিশ্র-রবিচন্দ্রন অশ্বিনরা। ভারতের সব কিছু এখনও পর্যন্ত একদম পরিকল্পনা মাফিক চলেছে। ঠিক যেমনটা ধোনি চেয়েছিল। সব ক’টা টস জিতেছে ও। আর শিশিরের সমস্যা মাথায় রেখে প্রতিবার আগে বল করেছে। ভারতীয় ব্যাটসম্যানরাও রান তাড়ার কাজটা অসম্ভব দায়িত্ব নিয়ে করে জয় নিশ্চিত করেছে।
তবে এত কিছু সত্ত্বেও একটা অস্বস্তি কোথাও কাজ করছে যে, ভারত এখনও পর্যন্ত কোনও সত্যিকারের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েনি। শেষ চারের লড়াইয়ে নামার আগে অবশ্য আজকের অস্ট্রেলিয়া ম্যাচটাই হয়ে উঠতে পারে সেই কঠিন চ্যালেঞ্জ। কিন্তু ওই যে বললাম, মিরপুরের পিচে জর্জ বেইলিদের বোলিং আক্রমণকে ভীষণ ভারসাম্যহীন দেখাচ্ছে। অস্ট্রেলীয় পেসারদের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছি না। কিন্তু স্পিনের আদর্শ পিচে চাপের মুখে বল করতে গিয়ে বারবার ধাক্কা খাচ্ছে ওরা। সত্যি বলতে কী, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ব্র্যাড হগকে খেলানো হল না দেখে অবাক হয়েছিলাম। মানছি, পাকিস্তান ম্যাচে ও দাগ কাটতে পারেনি কিন্তু সঙ্গে এটাও মনে রাখা দরকার, উপমহাদেশের দলগুলো স্পিনটা যত ভাল খেলে, অন্য টিমগুলো তত ভাল খেলতে পারে না। পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা ওকে যে ভাবে সামলেছিল, ক্যারিবিয়ানরা সে ভাবে পারত না। আশা করি আজ ভারতের বিরুদ্ধে সেই এক ভুল আর করবে না অস্ট্রেলিয়া। কারণ টুর্নামেন্ট যত গড়াচ্ছে, ততই ভাঙছে উইকেটটা আর প্রতিদিন আরও বেশি স্পিন সহায়ক হয়ে উঠছে।