Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
বোর্ডের বেসরকারি বৈঠক

বার্ষিক সভার ভাগ্য নির্ধারণ হয়তো রবিবার

সেপ্টেম্বরের শেষে বোর্ড নির্বাচন হচ্ছে, না হচ্ছে না? সব কিছু ঠিকঠাক চললে, আগামী রবিবার চেন্নাইয়ের তাজ শেরাটন একটা আন্দাজ দিতে যাচ্ছে। যেখানে এক বেসরকারি বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য বোর্ড সদস্যদের আমন্ত্রণ করেছেন নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন। যে বৈঠকে সম্ভবত ঠিক হতে যাচ্ছে বোর্ড নির্বাচনের ভাগ্য।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৩:২৪
Share: Save:

সেপ্টেম্বরের শেষে বোর্ড নির্বাচন হচ্ছে, না হচ্ছে না?

সব কিছু ঠিকঠাক চললে, আগামী রবিবার চেন্নাইয়ের তাজ শেরাটন একটা আন্দাজ দিতে যাচ্ছে। যেখানে এক বেসরকারি বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য বোর্ড সদস্যদের আমন্ত্রণ করেছেন নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন। যে বৈঠকে সম্ভবত ঠিক হতে যাচ্ছে বোর্ড নির্বাচনের ভাগ্য।

এত দিন ব্যাপারটা চলছিল আড়ালে-আবডালে। বৈঠক নিয়ে বিভিন্ন ক্রিকেট সংস্থার সঙ্গে অপসারিত বোর্ড প্রেসিডেন্ট ফোনে কথাবার্তা চালালেও বৈঠকের ব্যাপারে প্রকাশ্যে কিছু বলা হয়নি। কিন্তু এ দিন বোর্ড সচিব সঞ্জয় পটেল জানিয়ে দেন, চেন্নাইয়ে রবিবার একটা বৈঠক হচ্ছে। তবে সেটা বেসরকারি।

শোনা গেল, কয়েকটা কারণে রবিবারের বৈঠক ডাকা হচ্ছে। শ্রীনিবাসন নাকি দেখে নিতে চাইছেন, বোর্ডের ঠিক কতটা সমর্থন তাঁর আছে এই মুহূর্তে। পাশাপাশি দেখে নেওয়া হবে, বার্ষিক সভা পিছনো নিয়ে কোন কোন ফর্মূলা আছে বোর্ডের হাতে।

কেউ কেউ বৈঠকের আটচল্লিশ ঘণ্টা আগেই মনে করছেন, বার্ষিক সভা সেপ্টেম্বরের শেষে হওয়া সম্ভব নয়। টেকনিক্যাল সমস্যা থাকছে। বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী, ব্যালান্স শিটে সই করতে হবে প্রেসিডেন্টকে। বার্ষিক সভা পিছোবে কি পিছোবে না, সেটাও ঠিক করবেন প্রেসিডেন্ট। আর এই মুহূর্তে বোর্ড প্রেসিডেন্ট বলে কেউ নেই। শিবলাল যাদব বোর্ডের অন্তর্বর্তিকালীন প্রেসিডেন্ট। যে পদের কোনও অস্তিত্ব নেই বোর্ডের গঠনতন্ত্রে। তা ছাড়া যেখানে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আছেন, সেখানে শিবলাল সইসাবুদ করলে আইনি ত্রুটি থেকে যেতে পারে। যে ত্রুটিকে ভবিষ্যতে ব্যবহার করা যেতে পারে। আর বার্ষিক অ্যকাউন্টস থেকে শুরু করে বার্ষিক রিপোর্ট কোনও কিছু তৈরি নয় এখনও। সেক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে, অসমাপ্ত বার্ষিক অ্যাকাউন্টস একটা অস্ত্র। যা দিয়ে বার্ষিক সভা পিছিয়ে দেওয়া সম্ভব। আর একটা অংশের মত হচ্ছে, শিবলালকে সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন করে দিয়েছে অন্তর্বর্তিকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে। তা হলে প্রেসিডেন্ট নেই, বলা যাবে না। আর বার্ষিক সভা পিছনোর নাকি একটাই রাস্তা মাদ্রাজ হাইকোর্টে আবেদন করা। যেহেতু বোর্ড তামিলনাড়ুর সোসাইটি অব রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্টের অর্ন্তভুক্ত।

বিহার ক্রিকেট সংস্থার সচিব আদিত্য বর্মা যা নিয়ে তড়িঘড়ি শুক্রবার চিঠি পাঠিয়ে দিলেন তামিলনাড়ুর আইজি রেজিস্ট্রারকে। চিঠিতে আবেদন করা হয়েছে, আইজি রেজিস্ট্রার যেন দেখেন, যাতে কোনও ভাবে বার্ষিক সভা না পিছোয়। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সেটা যেন বোর্ড করতে বাধ্য করা হয়। রাতে পটনায় ফিরে ফোনে আদিত্য বলছিলেন, “শ্রীনি যাতে আবার বোর্ডে ফিরতে না পারে, তাই চিঠিটা লিখেছি। চিঠির কপি তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার কাছেও পাঠিয়ে দিয়েছি।”

বোর্ড সদস্যরা অবশ্য বৈঠকের আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে আদিত্যর চিঠি নয়, শোনা গেল নিজেদের অবস্থান নিয়ে বেশি চিন্তিত। সিএবি যেমন ঠিক করছে, বৈঠক নিয়ে মধ্যবর্তী অবস্থান নেওয়া ভাল। সিএবি প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়াকে তাঁর বৈঠকে যাওয়া নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাইলেন না। যা খবর, ডালমিয়া যাচ্ছেন না। বৈঠকে সিএবি প্রতিনিধি হিসেবে থাকবেন যুগ্ম-সচিব সুবীর গঙ্গোপাধ্যায়।

শোনা যাচ্ছে, তিরিশ বোর্ড সদস্যের মধ্যে কুড়ি জনকে দেখা যাবে বৈঠকে। তবে এটাও বলা হচ্ছে যে, বোর্ডের যে সব সদস্য শ্রীনি-সমর্থক নন, তাঁদের কাছে বৈঠকের ব্যাপার নাকি গোপন করে যাওয়া হয়েছে। বোর্ডের এক ভাইস প্রেসিডেন্ট যেমন একটি ক্রিকেট ওয়েবসাইটে বলে দিয়েছেন, বৈঠক নিয়ে তাঁকে কেউ কিছু বলেনি। কোনও বৈঠক যে আদৌ হচ্ছে, তা নিয়ে তাঁর কোনও ধারণাই নেই!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE