অ্যাডিলেডে কি অসাধারণ ক্রিকেট খেলল ভারত! সামনে থেকে দলকে টেনে নিয়ে গেলেন চেতেশ্বর পূজারা। ওঁর স্ট্রাইক রেট নিয়ে এত চর্চার যে কোনও মানেই হয় না, সেটাই বুঝিয়ে দিলেন তিনি। বিশেষ করে বিদেশের অচেনা ও কঠিন পরিবেশে। রান তোলা ছাড়াও প্রথম সেশনে নতুন বল খেলতে হয় কী ভাবে এবং তা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা দেখিয়ে দিয়েছেন সৌরাষ্ট্রের এই ব্যাটসম্যান। জোহানেসবার্গের প্রাণবন্ত উইকেটে পূজারার অবদানের কথা মনে করুন। আর অ্যাডিলেডের এই ম্যাচে, যেখানে ভারত ৪০-৪ হয়ে গিয়েছিল, সেই উইকেটে তিনি যে ব্যাটিং করলেন, তা মনে রাখলে নিশ্চয়ই ওঁর স্ট্রাইক রেট নিয়ে আর মাথা ঘামাতে হবে না কাউকে।
প্রথম টেস্ট জেতার পরে ভারতের সেই সাফল্য বজায় রাখার পরীক্ষা এ বার পার্থে। যেখানে নতুন এক মাঠে হতে চলেছে এই টেস্ট। শোনা যাচ্ছে, এই মাঠের বাইশ গজেও নাকি গতি ও বাউন্স দুই-ই বেশি। সত্যিই যদি তা হয়, তা হলে এই ম্যাচে যে কোনও দল জিততে পারে। কারণ, অস্ট্রেলিয়াকে সেখানে স্পিন খেলা নিয়ে চাপে থাকতে হবে না। যে সমস্যা ওদের অ্যাডিলেডে হয়েছিল। তাই আর অশ্বিন এই ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন।
তবে ভারতের পেসাররাও কম যান না। ওঁদের কুড়ি উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। উইকেটে যদি ঘাস থাকে, তা হলে তো কথাই নেই। পেসাররা আরও কার্যকরী হয়ে উঠবেন। মনে রাখবেন, জোহানেসবার্গে ভারত প্রাণবন্ত উইকেটে খেলে জিতেছিল। একটা সময়ে মনে হচ্ছিল, এই উইকেটে খেলাই অসম্ভব। এখানেও যে তা হবে না, কে বলতে পারে? তবে পার্থে একটা সমস্যায় পড়তে পারে ভারতীয় দল। চার বোলার বাছাই করার সময়। উইকেট সবুজ হলে রবীন্দ্র জাডেজার জায়গায় ভুবনেশ্বর কুমারকে অবশ্যই প্রথম এগারোয় রাখা উচিত।