ফাইল ছবি
যুদ্ধটা শুরু হয়েছিল রবিবার সকাল থেকে। আমনে-সামনে নয়। মেঘের আড়াল থেকে। আরও ভেঙে বললে, কম্পিউটারের আড়াল থেকে। যুদ্ধ জিততে দেশ এবং বিদেশের একাধিক মেঘনাদ হাজির হয়েছিলেন। কে জিতলেন, কে হারলেনের থেকেও বড় ব্যাপার, জিতে গেল ক্রিকেট। আইপিএলের মিডিয়া স্বত্বের ই-নিলামে দেখা গেল টাকার ছড়াছড়ি। তিন দিন টানটান যুদ্ধের শেষে বোর্ডের কোষাগারে ঢুকল ৪৮,৩৯০ কোটি টাকা। অল্পের জন্য ৫০ হাজার কোটির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হল না।
রবিবার থেকে নিলাম শুরু হওয়ার পরেই চড়চড় করে বাড়ছিল দর। প্রথম দিনেই ম্যাচ প্রতি দামের নিরিখে ইপিএল-কে টপকে যায় আইপিএল। প্রতি ম্যাচের জন্য দর উঠে যায় ১০৫ কোটি টাকা। মঙ্গলবার পর্যন্ত কোনও বিডারের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে বিভিন্ন সূত্রের তরফে জানা গিয়েছিল, টিভিতে দেখানোর স্বত্ব ধরে রেখেছে ডিজনি স্টার। ডিজিটাল স্বত্ব পেয়েছে ভায়াকম। মঙ্গলবার জয় শাহ টুইট করে সরকারি ভাবে সেটাই জানান। এ দিন প্যাকেজ ‘সি’, অর্থাৎ বাছাই করা ১৮টি ম্যাচের স্বত্বাধিকার পেয়েছে ভায়াকম। বিদেশে ম্যাচ দেখানো এবং ডিজিটাল স্বত্ব ভায়াকম এবং টাইমস ইন্টারনেটের মধ্যে ভাগাভাগি হয়েছে।
বোর্ডের হিসাব অনুযায়ী, ভারতে টিভিতে খেলা দেখানোর স্বত্ব ২৩,৩৭৫ কোটি টাকায় কিনেছে ডিজনি। ভারতের ডিজিটাল স্বত্ব ২০,৫০০ কোটি টাকায় কিনেছে ভায়াকম। তারাই বিশেষ ১৮টি ম্যাচের স্বত্ব কিনেছে ৩,২৫৭.৫২ কোটি টাকায়। ১০৫৮ কোটি টাকায় বিদেশের মাটিতে টিভি এবং ডিজিটাল স্বত্ব কিনেছে ভায়াকম এবং টাইমস ইন্টারনেট।
মঙ্গলবার নিলাম শেষের পরেই বোর্ড সচিব জয় শাহ টুইট করেছেন, ‘শুরু থেকেই উন্নতির সমার্থক হয়ে উঠেছে আইপিএল। আজ ভারতীয় ক্রিকেটের পক্ষে একটি উল্লেখযোগ্য দিন। ব্র্যান্ড আইপিএল নতুন উচ্চতায় পৌঁছল। ই-নিলামে দাম উঠল ৪৮,৩৯০ কোটি টাকা। ম্যাচ প্রতি দামের নিরিখে আইপিএলে গোটা বিশ্বে তৃতীয় স্থানে।’ তিনি জানিয়েছেন, যে অর্থ পাওয়া গিয়েছে তা তৃণমূল স্তর থেকে ঘরোয়া ক্রিকেটের উন্নতিতে, পরিকাঠামো বাড়াতে এবং ভারতজুড়ে ক্রিকেটীয় পরিবেশ গড়ে তুলতে কাজে লাগানো হবে। সাধারণ মানুষ যাতে আরও ভাল ভাবে আইপিএল উপভোগ করতে পারেন, তার জন্য প্রতিটি রাজ্য সংস্থা, আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিকে এগিয়ে আসার আহ্বান করেছেন তিনি।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy