Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
johnny bairstow

Johnny Bairstow: বোল্টের বোলিং নির্বিষ করে দাপট বেয়ারস্টো-ওভার্টনের, ঘুরে দাঁড়াল ইংল্যান্ড

এক সময় ২১ রানে চার উইকেট পড়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ডের। সেখান থেকে তাদের লড়াইয়ে ফেরালেন বেয়ারস্টো এবং ওভার্টন।

দুরন্ত শতরান বেয়ারস্টোর।

দুরন্ত শতরান বেয়ারস্টোর। ছবি রয়টার্স

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২২ ২৩:০৬
Share: Save:

কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম এসে মানসিকতাই বদলে দিয়েছিলেন তাঁদের। সাহস জুগিয়েছিলেন। দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করার কথা বলেছিলেন। আত্মসমর্পণ না করে পাল্টা লড়াই দেওয়ার কথা বলেছিলেন। সেই পরামর্শের ফল অবশেষে পাচ্ছে ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন ইংল্যান্ডের। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম দিকে চাপে পড়েও জনি বেয়ারস্টো এবং জেমি ওভার্টনের জুটির সৌজন্যে ঘুরে দাঁড়াল তারা। দ্বিতীয় দিনের শেষে তাদের স্কোর ২৬৪-৬। চা-বিরতির পর টি-টোয়েন্টির ঢংয়ে খেললেন বেয়ারস্টো এবং ওভার্টন। দেখে মনেই হয়নি কিছু ক্ষণ আগে এই দলটাই নিউজিল্যান্ডের বোলিংয়ের বিরুদ্ধে গুটিয়ে গিয়েছিল। পাল্টা মারের পন্থা নিয়েই সফল হলেন বেয়ারস্টো এবং ওভার্টন। দিনের শেষে বেয়ারস্টো ১৩০ রানে এবং ওভার্টন ৮৯ রানে অপরাজিত। সপ্তম উইকেটে ২০৯ রানে জুটি গড়েছেন তাঁরা, যা ইংল্যান্ডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

ড্যারিল মিচেল এবং টম ব্লান্ডেলের জুটিতে ভর করে প্রথম দিনের শেষে মোটামুটি ভদ্রস্থ জায়গায় ছিল নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় দিন মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগেই শতরান করেন মিচেল। চলতি সিরিজের প্রতিটি টেস্টে শতরান করলেন তিনি। মধ্যাহ্নভোজের আগেই অবশ্য তিন উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। অর্ধশতরান করে ফেরেন ব্লান্ডেল (৫৫)। শেষ দিকে মিচেলের সঙ্গে জুটি বাঁধেন টিম সাউদি (৩৩)। তবে মিচেল ফিরতেই তিনিও আউট হয়ে যান। ৩২৯ রানে শেষ হয় নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস।

কম রান থাকায় মনে হয়েছিল এগিয়ে থেকে নামবে ইংল্যান্ডই। সব হিসাব উল্টে দেন ট্রেন্ট বোল্ট। তাঁর দুরন্ত বোলিংয়ের দাপটে ২১ রানে চার উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। অ্যালেক্স লিসকে (৪) ফেরান প্রথম ওভারেই। এর পর জাক ক্রলি (৬) এবং অলি পোপও (৫) বোল্টের গতির সামনে দাঁড়াতে পারেননি। তিন জনেই বোল্ড হয়েছেন। প্রতিটি ক্ষেত্রেই বল ব্যাট-প্যাডের ফাঁক দিয়ে স্টাম্প উড়িয়ে দিয়েছে। ইংল্যান্ডের অন্যতম ভরসা জো রুটও চার রানের মাথায় খোঁচা দেন সাউদির বলে। ইংল্যান্ডের প্রথম চার ব্যাটারের কেউই দু’অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি।

সেখান থেকে হাল ধরেন বেয়ারস্টো। উল্টো দিকে থাকা বেন স্টোকস (১৮) বা বেন ফোকস (০) কেউই টিকতে পারেননি। ইংল্যান্ডের ত্রাতা হয়ে দাঁড়ান নবাগত ওভার্টন। দেখে মনেই হচ্ছে না এই টেস্টে তাঁর অভিষেক হয়েছে। বল হাতে মাত্র একটি উইকেট নিলেও ব্যাট হাতে কাজের কাজটি করে দিলেন। বেয়ারস্টো আগের টেস্টেও মারকুটে শতরান করেছিলেন। এ দিনও খেললেন টি-টোয়েন্টির ধাঁচে। পাল্টা চাপে ফেলে দিলেন কিউয়ি বোলারদের। তাঁর শতরানের ইনিংসে রয়েছে ২১টি চার। একটিও ছয় মারেননি। আক্রমণাত্মক খেলেছেন। কিন্তু ঝুঁকি নেননি। ওভার্টন সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন। মূলত বোলার হিসাবেই তাঁকে নেওয়া হয়েছিল। ব্যাট হাতে যে এ রকম ইনিংস পাওয়া যাবে, সেটা কেউই আশা করেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE