ম্যাচের মাঝে ইস্টবেঙ্গল এবং আইজলের ফুটবলাররা। ছবি: আই লিগ সৌজন্যে।
শেষ মুহূর্তের গোলে আইজলের বিরুদ্ধে পয়েন্ট হাতছাড়া করতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। জেতা ম্যাচ ড্র করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে খালিদের দলকে। শেষ মুহূর্তে গোল হজম করায় স্বভাবসিদ্ধ ঢঙে সমর্থকেরা যে কোচ ও ফুটবলারদের উপর ক্ষোভ উগড়ে দেবেন তা জানাই ছিল, কিন্তু হতাশার জেরে সিভিক পুলিশকে মারধর করে জেলে যেতে হবে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের, তা হয়তো ভাবতে পারেননি অনেকেই।
আরও পড়ুন: এটিকের নজরে ভারতীয় ফুটবলের ‘ওয়ান্ডার কিড’
আরও পড়ুন: ডার্বির আগে ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে হাজির শঙ্করলাল
বুধবার ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত সওয়া ১০টা। স্টেডিয়াম ফেরত গুটি কয়েক আইজল সমর্থককে ঘিরে কটুক্তি করতে থাকে এক দল ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে বাধা দিতে এগিয়ে আসেন দায়িত্বে থাকা সিভিক ভলান্টিয়ার অর্ঘ্য হালদার। এতে পরিস্থিতি হয়ে ওঠে আরও অগ্নিগর্ভ। এক দল সমর্থক অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে। শুধু গালিগালাজই নয়, তাদের মধ্যে কয়েক জন এলোপাথাড়ি ঘুষিও চালাতে থাকে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে লক্ষ করে। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত হয়ে পড়েন ওই ভলান্টিয়ার। অর্ঘ্যকে বাঁচাতে ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ আধিকারিকেরা। কোনও ভাবে ওই উগ্র সমর্থকদের হাত থেকে উদ্ধার করে প্রহৃত সিভিক ভলান্টিয়ারকে নিয়ে যান তাঁরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে আট জনকে।
তবে এই ঘটনার সত্যতা মানতে চাননি ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যাণ মজুমদার। তিনি বলেন, “এই রকম কিছুই ঘটেনি। এ সব সাংবাদিকদের বানানো উন্মাদ খবর।”
পরে অবশ্য এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেববব্রত সরকার বলেন, “এই ঘটনাকে ক্লাব সমর্থন করে না। এটা ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সংস্কৃতি নয়। যারা এই কাজ করেছে তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। মাঠের প্রতিদ্বন্দ্বিতা মাঠেই থাকুক, মাঠের বাইরে নয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy