আরও খবর: লাজংকে হারিয়ে গ্রুপ শীর্ষে বাগান
ম্যাচ শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যেই উইলিস প্লাজার মিস দিয়ে শুরু। বিকাশ জাইরুর মাপা ক্রস বুঝতেই বেড়ি করে ফেলেছিলেন প্লাজা। যে কারণে বলে শট নিতে ব্যর্থ তিনি। বক্সের মধ্যে থেকেই সেই বল ক্লিয়ার করে দেন লালথাকিমা। এই সুযোগ নষ্টের ঠিক দু’মিনিটের মধ্যেই ওয়েডসনের যে হেড আইজল গোলে যেতে পারত সেটা এতটাই দুর্বল ছিল যে সহজেই ক্লিয়ার করল আইজল ডিফেন্স। এর পরই ১৭ মিনিটে ছিল আইজল গোলকিপারের দুরন্ত সেভ। না হলে প্লাজা-ওয়েডসন জুটি গোলের মুখ প্রায় খুলেই ফেলেছিল। ২১ মিনিটে আবার প্লাজার ভুলে গোল নষ্ট।
এর পর ছিল আইজলের পালা। লালনুফেলার গোলমুখি শট হাওয়ায় লাফিয়ে বাইরে পাঠালেন অর্ণব মণ্ডল। এর পরটা ছিল আইজলের। প্রথমার্ধের শেষ পর্যন্ত বেশ কিছু আধা সুযোগ তৈরি করল আই লিগ চ্যাম্পিয়নরা। প্রথমার্ধ গোলশূন্যভাবে শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ভাবা হয়েছিল গোলের মুখ দেখতে পাবে কোনও না কোনও দল। কিন্তু তেমনটা হল না। যেখানে শেষ করেছিল প্রথমার্ধ সেখান থেকেই শুরু হল দ্বিতীয়ার্ধ। প্লাজার মিসের তালিকা বাড়লই শুধু। আর কিছু হল না। ৬৯ মিনিটে যে গোলের সুযোগ প্লাজা মিস করলেন সেটার জন্য হয়তো আজ রাতে ঘুম আসবে না তাঁর। শুধুমাত্র গোলকিপারকে সামনে পেয়েও বল গোলে রাখতে ব্যর্থ তিনি। এত গোলের সুযোগ তৈরি করল যাতে একডজন গোল করতে পারত ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু ফাইনাল টাচটাই দেখা গেল না।
গত ম্যাচের জোড়া গোলদাতা রবিন সিংহকে এদিন প্রথম থেকে নামানো হয়নি। গোলের মুখ খুলতে ওয়েডসনকে তুলে যখন রবিন কে নামানো হল তখন আম্পায়ারের ঘড়িতে ৮০ মিনিট অতিক্রান্ত। পুরো ম্যাচে যিনি সব থেকে বেশি নজরে পড়লেন তিনি বিকাশ জাইরু। সারাক্ষণই গোলের বল তৈরি করে গেলেন। শেষের দিকে ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ রুখতে আইজল বক্সে পৌঁছে গেল পুরো আইজল টিম। পুরো ম্যাচে সব কিছুই ছিল শুধু গোলটাই হল না।