বিশ্বকাপের ৩২ ম্যাচ হয়ে গেল। মোট ৬৪ ম্যাচের অর্ধেকই শেষ। সেরা তারকারা কেউ সফল, কেউ দুর্দান্ত সফল, কেউ সাদামাটা, কেউ আবার ব্যর্থ। বড় দলগুলোও আলো-আঁধারিতে মিশে। বিদায় নিয়েছে বেশ কিছু দল। কোনও কোনও দল আবার আজ থেকে শুরু হতে চলা গ্রুপের শেষ ম্যাচে উজাড় করে দেওয়ার অপেক্ষায়।
সুইডেনের বিরুদ্ধে স্টপেজ টাইমের শেষ মিনিটে ফ্রি-কিকে অবিশ্বাস্য গোলে দলকে জিতিয়েছিলেন জার্মানির টোনি খোস। প্রথম ম্যাচে হারের পর জেতা দরকার ছিল গত বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। ১-১ থাকা পরিস্থিতেতে মারাত্মক চাপের মধ্যে খোসের গোল স্বস্তি আনে শিবিরে।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর মতো বেলজিয়ামের রোমেলু লুকাকুও করে ফেলেছেন চার গোল। নয় নম্বর জার্সিতে পুরোদস্তুর স্ট্রাইকারের ভূমিকায় দুরন্ত তিনি। খুব গরিব পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। মাকে কথা দিয়েছিলেন, বড় হয়ে নামকরা ফুটবলার হবেন। হয়েওছেন।
তবে আপাতত বিশ্বকাপের সর্বাধিক গোলদাতা এঁরা কেউ নন। অনেকটা সিলেবাসের বাইরে থেকে উঠে আসার মতোই পাঁচ গোল করে সোনার বুট পাওয়ার পয়লা নম্বর দাবিদার হয়ে উঠেছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেন। তিউনিসিয়ার বিরুদ্ধে দু’গোলের পর পানামার বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক। যা এ বারের বিশ্বকাপের দ্বিতীয়। নিন্দুকরা বলতে পারেন, হ্যাটট্রিকের প্রথম দুই গোল এসেছে পেনাল্টিতে। কিন্তু, স্পেনের বিরুদ্ধে রোনাল্ডোর প্রথম গোলও এসেছিল পেনাল্টিতে!
আরও খবর: বিশ্বকাপ: শেষ ষোলোতে কারা উঠে গেল, কারা আউট, কারা ঝুলে
আরও খবর: মেসি, সময় কিন্তু আর বেশি নেই
আরও খবর: আর্জেন্টিনা শিবিরে বিদ্রোহ চরমে, একঘরে কোচ সাম্পাওলি
প্রদীপের নীচের অন্ধকারের মতো সফলদের পাশাপাশি উঁকি মারছেন আরও কয়েক জন। যাঁরা এখনও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি বা উপহার দিয়েছেন শুধুই হতাশা। কেউ আবার কখনও উজ্জ্বল, কখনও ফিকে। ব্রাজিলের নেমার যেমন। কোস্টা রিকার বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্তে স্টপেজ টাইমে গোল পেলেও সমালোচিত হয়েছেন নাটুকেপনার জন্য। মার খাওয়ার ভান করে পেনাল্টি আদায়ের চেষ্টা চিহ্নিত হয়েছে অভিনয় হিসেবে। যা তাঁর ক্ষেত্রে মানায় না।
তবে প্রথম দুই ম্যাচে সেরা হতাশা অবশ্যই লিওনেল মেসি। পেনাল্টি নষ্ট করেছিলেন প্রথম ম্যাচে। দ্বিতীয় ম্যাচে হারতে হয়েছে তিন গোলে। সবচেয়ে যন্ত্রণার, মরিয়া তাগিদও দেখা যায়নি তাঁর মধ্যে।