Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Santosh Trophy Final

সৌদিতে সন্তোষ করে মাথায় হাত ফেডারেশনের! বাংলা না থাকায় ক্ষতি, মানলেন কল্যাণ

লিয়োনেল মেসি বনাম ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ম্যাচ দেখার জন্য যে কিং ফাহদ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম ভরে গিয়েছিল ৬০ হাজার দর্শকে, সেই মাঠই সন্তোষ ট্রফির ম্যাচের সময় ফাঁকা।

Kalyan Chaubey

এত কম দর্শক হবে তা আশা করেননি কল্যাণ চৌবে। —ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২৩ ২২:০৩
Share: Save:

সন্তোষ ট্রফির ইতিহাসে প্রথম বার দেশের বাইরে খেলা হচ্ছে এই প্রতিযোগিতা। সৌদি আরবে মেঘালয় বনাম পঞ্জাব সেমিফাইনালে আরবের রিয়াদ স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন গুটিকয় দর্শক। এত কম দর্শক হবে তা আশা করেননি কল্যাণ চৌবে। সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার (এআইএফএফ) প্রধান এর জন্য দায়ী করলেন বাংলা এবং কেরলের নক আউটে উঠতে না পারাকে।

লিয়োনেল মেসি বনাম ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ম্যাচ দেখার জন্য যে কিং ফাহদ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম ভরে গিয়েছিল ৬০ হাজার দর্শকে, সেই মাঠই সন্তোষ ট্রফির ম্যাচের সময় ফাঁকা। কল্যাণ বলেন, “আমি চাইছিলাম কেরল এবং বাংলা সেমিফাইনালে উঠুক। ওরা যদি উঠত তা হলে কেরল থেকে অনেক মানুষ খেলা দেখতে আসতেন। সৌদি আরবে থাকা এই রাজ্যের সমর্থকরা খেলা দেখতে এলে কিছু টিকিটও বিক্রি হত। সেটা হলে সৌদির ফুটবল সংস্থা এবং ভারতের জন্য ভাল হত।”

বাংলা এবং কেরল সেমিফাইনালে উঠবে ধরে নিয়েই সৌদি আরবে সন্তোষ ট্রফি আয়োজন করেছিলেন বলে জানালেন কল্যাণ। তিনি বলেন, “বাংলা, কেরল উঠবে ভেবেই এই ৬০ হাজার লোকের স্টেডিয়াম বেছে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমাদের ভাবনা মতো সব কিছু হয়নি। কেরল উঠতে পারল না।” গত বার সন্তোষ ট্রফি জিতেছিল কেরল। এ বার তারা গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয়।

কল্যাণ জানিয়েছিলেন, সন্তোষ ট্রফির ম্যাচে প্রথম বার ভিডিয়ো অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভার) ব্যবহার করা হবে। কিন্তু বুধবার সেমিফাইনালে সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়নি। প্রথম সেমিফাইনালে মেঘালয় ২-১ গোলে হারিয়ে দেয় পঞ্জাবকে। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে কর্নাটক ৩-১ গোলে হারিয়ে দেয় সার্ভিসেসকে। ৪ মার্চ ফাইনাল খেলবে মেঘালয় এবং কর্নাটক।

সৌদি আরবে সন্তোষ ট্রফি করার কারণও জানান কল্যাণ। তিনি বলেন, “সৌদি আরবে ২৫ লক্ষ ভারতীয় থাকেন। পাশেই কাতার এবং বাহরিন। সেখানে থাকেন ১২ লক্ষ ভারতীয়। ২০২২ বিশ্বকাপের সময় দোহায় দর্শক সংখ্যার বিচারে ভারত ছিল দ্বিতীয়। আমরা এটাকেই কাজে লাগাতে চেয়েছিলাম। ফুটবলাররা অনেক কিছু নতুন পাচ্ছে। চেনা বিপক্ষ হলেও মাঠ, পরিস্থিতি, প্রযুক্তি সবই নতুন। আগামী দিনেও আমরা এটা করতে চাইব। অবশ্যই আর্থিক দিকটাও দেখতে হবে আমাদের। এই প্রতিযোগিতা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলতে পারব না। তবে আমি চাই প্রতি বছর এটা হোক।”

সন্তোষ ট্রফি সৌদি আরবে হবে জানার পর খুশি হতে পারেননি ভাইচুং ভুটিয়া। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক এআইএফএফ-এর সভাপতি হওয়ার নির্বাচনে নেমেছিলেন। যদিও হেরে যান কল্যাণের কাছে। সৌদি আরবে সন্তোষ ট্রফির নক আউট পর্ব আয়োজন প্রসঙ্গে ভাইচুং বলেছিলেন, “এটাতে কারও কোনও লাভ হবে না। ছুটিতে ঘুরতে যাওয়ার মতো হবে।” আর্থিক দিক থেকে যে লাভ হয়নি তা মেনে নিলেন স্বয়ং কল্যাণও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE