মুম্বইয়ের ঘরের মাঠে মুম্বইকে হারানো সহজ কাজ নয়। আর যখন দারুণ ছন্দে দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা তখন তো কাজটা আরও বেশি কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু কলকাতা নাইট রাইডার্সের সামনে লক্ষ্য জয়ের ধারা ধরে রাখার। সে মুম্বইয়ের মাঠ হোক বা ঘরের। নক-আউটে যেতে গেলে একটা জয় যথেষ্ট নয় শাহরুখ খানের দলের জন্য। এখন সব ম্যাচ জিততে হবে।
অনেক হিসেবের সামনে দাঁড়িয়ে দীনেশ কার্তিকের দলের কাছে জয় ছাড়া আর কিছুই ভাবার অবকাশ নেই। রবিবার ছুটির দিন স্টেডিয়াম জুড়ে মুম্বই মুম্বই চিৎকারের মধ্যেই মুম্বইকে বল হাতে ১৮১কে বেঁধে ফেলল কলকাতার বোলাররা। বোলাররা যে খুব সফল তেমনটা বলা যাবে না। কারণ ২০ ওভারে মাত্র ৪ উইকেটই নিতে পেড়েছে কলকাতা।
ওপেন করতে নেমে শুরুটা করে দিয়েছিলেন প্রাক্তন কেকেআর সূর্যকুমার যাদব আর এভিন লুইস। ৩৯ বলে সূর্যকুমারের ব্যাট থেকে আসে ৫৯ রান। লুইস ২৮ বলে করেন ৪৩। এ দিন যদিও ব্যর্থ রোহিত শর্মা। তিনি ১১ বলে করেন ১১ রান। এর পর কিছুটা হাল ধরেন হার্দিক পাণ্ড্য। ২০ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার মধ্যেই মাত্র ১৪ রান করে প্যাভেলিয়নে ফেরেন ক্রুনাল। শেষে জেপি দুমিনির অপরাজিত ১৩ রানের সুবাদে মুম্বই ইনিংস শেষ হয় ১৮১/৪এ।
কলকাতার হয়ে দুটো করে উইকেট নেন সুনীল নারিন ও আন্দ্রে রাসেল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় কলকাতা। দুই ওপেনারের কেউই ভিত গড়ে দিতে পারেননি। ক্রিস লিন ১৭ ও শুভমন গিল ৭ রানে ফিরে যান প্যাভেলিয়নে। এর পর হাল ধরেন রবিন উথাপ্পা ও নীতিশ রানা।
এর পর তিন ও চার নম্বরে নেমে কলকাতাকে কিছুটা ভরসা দেওয়ার চেষ্টা করেন রবিন উথাপ্পা ও নীতিশ রানা। উথাপ্পার ব্যাট থেকে আসে ৩৫ বলে ৫৪ রান। তিনটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। ২৭ বলে ৩১ রান করে প্যাভেলিয়নে ফেরেন রানা। রানা যখন ফেরেন তখন কলকাতা ১১৫/৪। এখান থেকে দীনেশ কার্তিককেই হাল ধরতে হত। আন্দ্রে রাসেল মাত্র ৯ রান করে ফিরে যান প্যাভেলিয়নে। ধরার চেষ্টা করলেও পারেননি কেকেআর অধিনায়ক। নির্ধারিত ওভারে লক্ষ্য ততক্ষণে অনেকটাই বেশি হয়ে গিয়েছে।
শেষ দু’ভারে কেকেআরকে করতে হত ৩৭ রান। হাতে ছিল পাঁচ উইকেট। শেষ ওভারে তা এসে দাঁড়ায় ৬ বলে ১৯ রানে। উইকেট ধরেই রেখেছিল কলকাতা সঙ্গে লড়াইও চালিয়েছিলেন অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। কিন্তু লক্ষ্যে পৌঁছতে পারল না। ২৬ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকলেন কার্তিক। তার মধ্যেই মাত্র পাঁচ রান করে আউট হলেন সুনীল নারিন। মুম্বইয়ের হয়ে একটি করে উইকেট নেন ম্যাকক্লেনাঘান, ক্রুনাল, বুমরা ও মারকান্দে। জোড়া উইকেট হার্দিকের। নির্ধারিত ওভারে ১৬৮/৬এ থেমে গেল কলকাতার ইনিংস।