দিল্লি ক্যাপিটালসের উইকেট পড়ার পরে উল্লাস গুজরাত টাইটান্সের ক্রিকেটারদের। ছবি: আইপিএল
ম্যাচের প্রথম বলেই বোঝা গিয়েছিল ইনিংসের বাকিটা কী হতে চলেছে। মহম্মদ শামির হাফ ভলি সরাসরি ডেভিড মিলারের হাতে মারেন ফিল সল্ট। সেই শুরু। তার পর আগুন ঝরালেন শামি। উইকেটের পিছনে তাঁকে সঙ্গত দিলেন ঋদ্ধিমান সাহা। দিল্লির ব্যাটারদের অবস্থা হল আয়ারাম-গয়ারাম। মুখরক্ষা করলেন অমন খান। সাত নম্বরে ব্য়াট করতে নেমে অর্ধশতরান করলেন তিনি। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৩০ রানে শেষ হল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়দের দলের ইনিংস। ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিলেন শামি। গুজরাতের জয়ের লক্ষ্য ১৩১ রান।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দিল্লির অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। বলেছিলেন, তাঁরা চেষ্টা করবেন ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে। কিন্তু আদতে হল তার উল্টো। শামির প্রথম স্পেলেই ছারখার হয়ে গেল দিল্লি। আগের ম্যাচে রান করা সল্ট শূন্য রানে ফেরার পরে ইনিংস ধরার কথা ছিল ওয়ার্নারের। কিন্তু প্রিয়ম গর্গের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে মাত্র রান আউট হয়ে গেলেন তিনি।
দিল্লির টপ অর্ডারে কেউ রান পাননি। শামি অফ স্টাম্প লাইনে বল করে গেলেন। সিমে পড়ে কোনও বল বাইরের দিকে গেল। কোনও বল ভিতরে ঢুকল। বলের লাইন বুঝতে না পেরে খোঁচা মেরে আউট হলেন রাইলি রুসো, মণীশ পাণ্ডে ও গর্গ। তিনটি ক্যাচই ধরলেন ঋদ্ধি। তার মধ্যে ডান দিকে ঝাঁপিয়ে মণীশের নেওয়া ক্যাচটি তাঁর সেরা। ৫ ওভারের মধ্যে ২৩ রান দিল্লির অর্ধেক দল সাজঘরে ফিরে যায়।
স্পিন কাজ করছে না দেখে আবার পেসারকে আক্রমণে আনেন হার্দিক। আর নিজের প্রথম ওভারেই ২৭ রানের মাথায় অক্ষরকে আউট করেন মোহিত শর্মা। কিন্তু অমন ভাল খেলছিলেন। বল দেখে শট মারছিলেন তিনি। দলের রানকে সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে যান এই ডান হাতি ব্যাটার।
৪১ বলে নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করেন অমন। ক্রিকেটের যে কোনও ফরম্যাটে এটিই তাঁর প্রথম অর্ধশতরান। ভাল খেলছিলেন রিপল পটেলও। দুই ব্যাটার মিলে আরও একটি ৫০ রানের জুটি বাঁধেন। শেষ দিকে গুজরাতের পেসারদের ওভারে রান ওঠে। দিল্লির বোলারদের লড়াই করার জায়গা দিয়ে যান অমন। তিনি ৫১ রান করে আউট হন। রিপল করেন ২৩ রান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy