Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
নাইটদের চ্যালেঞ্জ আজ দুই গেমচেঞ্জার

নারাইন অস্ত্রে আজ আটকাও বেন স্টোকসকে

গুজরাত লায়ন্সের বিরুদ্ধে বেন স্টোকসের ইনিংসটা দেখতে দেখতে আমার আর এক জন অলরাউন্ডারের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার ল্যান্স ক্লুজনার।

আগমন: কলকাতায় চলে এলেন বেন স্টোকস, মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। বুধবার ইডেনে যাঁদের লড়াই কেকেআরের বিরুদ্ধে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।

আগমন: কলকাতায় চলে এলেন বেন স্টোকস, মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। বুধবার ইডেনে যাঁদের লড়াই কেকেআরের বিরুদ্ধে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।

সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০১৭ ০৪:১৭
Share: Save:

গুজরাত লায়ন্সের বিরুদ্ধে বেন স্টোকসের ইনিংসটা দেখতে দেখতে আমার আর এক জন অলরাউন্ডারের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার ল্যান্স ক্লুজনার। ফ্রন্টফুটে স্টোকস বেশ কয়েকটা কভার ড্রাইভ আর স্ট্রেট ড্রাইভ মেরেছে, যেটা আমাকে ক্লুজনারের কথা মনে পড়িয়ে দিচ্ছিল। সেই টাইমিং, সেই পাওয়ার। এই আইপিএলে যে সব পাওয়ার হিটাররা রয়েছে, সেই ক্রিস গেল, ইউসুফ পাঠান, ডেভিড ওয়ার্নারদের চেয়ে কিন্তু খুব একটা পিছিয়ে থাকবে না স্টোকস। গুজরাত বোলাররা নিশ্চয়ই সেটা টের পেয়েছে।

ইডেনে আজ, বুধবার নাইটদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ অবশ্যই স্টোকস। যদি অবশ্য ও পুরো ফিট থাকে। আমি নিশ্চিত, স্টোকসের ইনিংস দেখার পরে জাক কালিস, গৌতম গম্ভীর ওকে নিয়ে আলাদা হোমওয়ার্ক করেই মাঠে নামবে। আমি যদি কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্টে থাকতাম, তবে স্টোকসের জন্য আমার নিজের কিছু বিশেষ পরিকল্পনা থাকত।

স্টোকস ইংল্যান্ডের পরিবেশে খেলে বড় হওয়া প্লেয়ার। ডারহ্যাম কাউন্টিতে খেলেছে। দেখলেই বোঝা যায়, ও ফ্রন্টফুটে খেলতে পছন্দ করে। ওর বেশিরভাগ স্কোরিং শট আসে ফ্রন্টফুট ড্রাইভ থেকে। ওর জন্য আমার স্ট্র্যাটেজি খুব সোজা সরল হতো। আমি দু’জন বোলারকে রেখে দিতাম স্টোকসের জন্য।

আরও পড়ুন: কর্টিজেন নিয়ে মাঠে ক্রিস লিন

প্রথম জন অবশ্যই সুনীল নারাইন। স্টোকস পেসারদের ভাল মেরে দেবে, কিন্তু নারাইন-কে ও কতটা বুঝতে পারবে, সন্দেহ আছে। নারাইন-কে এই আইপিএলে ও প্রথম বার খেলবে। কাজটা সোজা হবে না। নারাইনের ১২টা বল যদি স্টোকসকে খেলানো যায়, তা হলে আমার বিশ্বাস ও স্টোকস-কে তুলে নেবে।

মহড়া: ইডেনে প্রস্তুতিতে সূনীল নারাইন । আজ লড়াই পুণে সুপারজায়ান্টদের বিরুদ্ধে। ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী

নারাইনে কাজ না হলে দ্বিতীয় অস্ত্র হিসেবে গম্ভীর যেন কুলদীপ যাদব-কে নিয়ে আসে। কুলদীপের চায়নাম্যান বোঝাও কিন্তু সহজ নয়। বিশেষ করে যে আগে খুব বেশি এ ধরনের বোলার খেলেনি। স্টোকসের আসার কথা পাঁচ নম্বরে। সে হিসেবটা করে যেন স্পিনারদের রাখে গম্ভীর। মাথায় রাখতে হবে, স্টোকস-কে যতটা সম্ভব ব্যাকফুটে খেলাতে হবে। উইকেট টু উইকেট বল করতে হবে।

তবে স্টোকসের থেকেও আমার চিন্তা কিন্তু আর এক জনকে নিয়ে। এই আইপিএলে সে রকম ছন্দে না থাকলেও আমার কাছে যে এখনও বিশ্বের সেরা ফিনিশার। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। স্টোকসের জন্য আপনি স্ট্র্যাটেজি কষতে পারেন, কিন্তু ধোনিকে নিয়ে প্ল্যান করে খুব লাভ হবে বলে মনে হয় না। ওর ব্যাট যদি চলতে থাকে, তা হলে প্ল্যান এ, বি, সি— কিছুই কাজে লাগবে না। তবু একটা প্ল্যান তো করতেই হবে। ধোনির বিরুদ্ধে এমন বোলার আনতে হবে যার বল সে ভাবে ব্যাটে আসবে না। সমস্যা হল, এই কেকেআর টিমে সে রকম কোনও বোলার আমার নজরে পড়েনি। গম্ভীররা কী ফর্মুলা বার করে, দেখা যাক।

আর একটা ব্যাপার গম্ভীরদের মাথায় রাখতে হবে। ফিল্ডিং। স্টোকসের জন্য লং অফ, লং অনে ফিল্ডার রাখতে হবে। ধোনির জন্য সব সময় ডিপ পয়েন্ট আর ডিপ মিড উইকেট। কোনও ভাবেই ক্যাচ ফেলা চলবে না। স্টোকস বা ধোনির মতো ক্রিকেটারের ক্যাচ ফেলা মানে ম্যাচটাও ফেলে দেওয়া।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE